
আমাদের ভারত, কোচবিহার,৭ ফেব্রুয়ারি: প্রবীণ বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে সরিয়ে কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হল পার্থ প্রতিম রায়কে। বৃহস্পতিবার রাতে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা তার হাতে হাতে এসে পৌঁছায়। পার্থ প্রতিম রায়কে এই পদে বসানো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রবীণ রাজনীতিবিদ মিহির গোস্বামীকে অব্যাহতি দিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে এই পদে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ইঙ্গিত তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছে।
বাম আমলে কোচবিহার এমজেএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। পরে শাসন ক্ষমতা পরিবর্তনের পর নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে এই পদে বসানো হয়। পরে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসেন। এমজেএন হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের উন্নতি হলে মিহির গোস্বামী মেডিকেল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকেন। এর আগে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল মিহির গোস্বামীকে। একসময় কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বনাম মিহির ঘোষের লড়াই সর্বজনবিদিত ছিল। কিন্তু এই দুই নেতা দলে এখন অনেকটাই কোণঠাসা। এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস কোচবিহার জেলা সংগঠনের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন এবং কার্যকারী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কোচবিহারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ইঙ্গিত মিলেছে রাজবংশী সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় রাজবংশীদের দলের নেতৃত্বে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আগেই। মনে করা হচ্ছে সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এবং কার্যকরী সভাপতি পদে রাজবংশী মুখ নিয়ে আসা এবং এই কারণেই পার্থ প্রতিম রায়ের ক্ষমতা বাড়ছে দলে।
সূত্রের খবর, আগামী দিনে পার্থপ্রতিম রায়কে সামনে রেখেই কোচবিহারে দল পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলেছেন এই তরুণ নেতা।