কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

গোপাল বনিক, চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৪ মার্চ: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও গুছিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন শহরে তিনি লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, এবার পরিস্থিতির গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তিনি লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করে দিলেন। শুধু তাই নয়, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কোনও ছাড় দেওয়ার বিলাসিতা না-করে গোটা রাজ্যে আজ বিকেল ৫টা থেকে এই লকডাউন বলবৎ হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন এই সময়সীমা বাড়ানো হল, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার বোঝাতে চেয়েছেন, নোভাল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার কথা প্রথম যখন জানা গিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক অল্প সময়েই একলক্ষ রোগী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই কারণে এই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হল।

মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, তিনি অন্য রাজ্যের মতো কারফিউ জারিতে বিশ্বাসী নন। মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলেই লকডাউনের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় ছাড় দিয়েছেন। সেই অবস্থান থেকে এদিনও সরেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শুধু অনুরোধ করেছেন, এই কেনাকাটার জন্য ভিড় না-করতে। বরং, একটু তফাতে থেকে বা অন্য ব্যক্তির ছোঁয়া এড়িয়ে কেনাকাটা করতে।

এসবের পাশাপাশি, এদিন লকডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুঃস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে ‘প্রচেষ্টা’ নামে একটি প্রকল্পও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিন আনি দিন খাই, এমন পরিস্থিতিতে যে মানুষ রয়েছেন, অর্থাৎ রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথাও এদিন তিনি ঘোষণা করেন।

এরপরেই তিনি সোজা নবান্নে থেকে আসেন আরজিকর হাসপাতাল। সেখানে করোনার চিকিৎসা ব্যাবস্থা নিয়ে কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তারসঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এরপর তিনি একের পর এক সরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখেন।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here