বয়ান বদলে দিল চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাকারি ছাত্রী, আদালতে নিজের আনা অভিযোগই মানলেন না নিজে

আমাদের ভারত, ১৪ অক্টোবর:বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল বছর ২৩র এক ছাত্রী। এই মামলার শুনানি ছিল লখনৌর বিশেষ আদালতে। সেখানে ওই ছাত্রী নিজের আনা অভিযোগ মানতে চাইলেন না। বদলে দিলেন নিজের দেওয়া বয়ান।

যদিও এই মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জামিন পেয়েছিলেন চিন্ময়ানন্দ। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে লখনৌ এর বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই নিজের আনা অভিযোগ থেকে সরে এলেন ওই ছাত্রী। নিজের দেওয়া বয়ান বদলে দিলেন তিনি। এই ঘটনার পরে চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই অভিযোগকারিণী ছাত্রীকে। বুধবার আবার সেই মামলার শুনানি হবে।

উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে চিন্ময়ানন্দের তৈরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ত ওই ছাত্রীটি। সেখানে এক বছরের বেশি সময় ধরে তাকে যৌন হেনস্থাও ধর্ষণ করেছেন চিন্ময়ানন্দ। এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন ওই ছাত্রী। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর সেই মর্মে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সে। আর তার এক সপ্তাহ আগেই ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কারণে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার বাবা। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিল ছাত্রীর পরিবারের তরফেও।

এরপর ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন চিন্ময়ানন্দ। তারপর ২৩ বছরের ছাত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। বিজেপির এই সংসদে কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা দাবি করে ওই ছাত্রী। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিট। ৬ নভেম্বর ধর্ষণের মামলা ও ছাত্রীর তরফে টাকা আদায় চেষ্টার মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিট। এরপর ডিসেম্বর মাসে ওই ছাত্রীকে জামিন দেয় এলাহাবাদ আদালত। তারপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের জামিন পান বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ। আদালতে বলা হয় নেতা ও ছাত্রী দুজনেই দুজনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। তাহলে ছাত্রীকে জামিন দিলে নেতাকে জামিনেও কোন অসুবিধা নেই। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে বলেও জানা গিয়েছিল। কিন্তু এলাহাবাদ কোর্টের সিদ্ধান্তে নাক গলাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এবার ছাত্রীর বয়ান বদলের পর এই মামলার গতি কোন দিকে যায় তাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *