রোগী মৃত্যু হয়নি! অক্সিজেন মহড়া মামলায় ক্লিনচিট পেল আগ্রার শ্রী পারস হাসপাতাল

আমাদের ভারত, ১৯ জুন: আগ্রার শ্রীপারস হাসপাতালকে ‘ভুয়ো মহড়া’ মামলায় ক্লিনচিট দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। হাসপাতাল মালিকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে তিনি ভুয়ো মহড়ায় ২২ জন রোগীর মৃত্যুর কথা জানান। তবে ঘটনার সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানানো হয়। তদন্ত সম্পন্ন হতেই হাসপাতালকে ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার, এএনআই সূত্রের খবর।

ভুয়ো মহড়া চালিয়ে অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ২২ জন রোগী মারা যায় বলে অভিযোগ ওঠে আগ্রার বেসরকারি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। ১০ দিন পর তদন্তের রিপোর্ট আসে এবং আগ্রার বেসরকারি হাসপাতালটিকে ক্লিনচিট দেয় যোগী সরকারের তদন্ত কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুয়ো মহড়ায় অক্সিজেন বন্ধের ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি ২২ জন রোগীর মৃত্যুর তথ্যও মিথ্যে। গত ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে হাসপাতালে যে ১৬ জন রোগীর মৃত্যু হয় করোনায় তাদের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। অক্সিজেনের অভাবে তাদের কারো মৃত্যু হয়নি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে হাসপাতাল মালিক অরিঞ্জয় জৈন বলেছিলেন, গত ২৭ এপ্রিল সকালে একটি ভুয়ো মহড়া চালানো হয় হাসপাতালে। সে সময় ৫ মিনিটের জন্য অক্সিজেন বন্ধ করেছিলেন তারা। মহড়া চলাকালীন ২২ জন রোগীর অক্সিজেনের অভাবে দেহ নীলাভ হয়ে যায় তাই তারা ফের অক্সিজেন চলাচল শুরু করে দেন। রাজ্য জুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও অক্সিজেন জোগাড় করতে পারছেন না, কাজেই প্রশাসনের নির্দেশেই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য মহড়া চালায় তারা। অক্সিজেনের অভাবে কোন্ রোগী মৃত্যু হতে পারে এবং কোন্রোগী বাঁচতে পারে তা পরীক্ষা করতেই সেই মহড়া করা হয়েছিল বলে হাসপাতাল মালিক দাবি করেছিল। ভিডিওটি তীব্র গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় নেট মাধ্যমে। ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য রাজনীতি এবং দেশ। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষও।

কিন্তু জেলা প্রশাসক প্রভু এন সিং ঘটনাকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন। সঙ্গে এও বলেন, অক্সিজেনের অভাব রয়েছে বলে খবর ছড়ালেও ৪৮ ঘন্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এই ঘটনার তদন্ত হবে বলেও বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *