কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জানুয়ারি: কলতলায় বা বাথরুমে শ্যাওলা জমে থাকলে যেভাবে ব্লিচিং দিয়ে সাফ করে দেওয়া হয়, ঠিক
সেভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাফ করে দিন। তৃণমূল কংগ্রেস এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গিয়েছে। শনিবার চন্দ্রকোনা টাউনের খেজুরডাঙ্গা মাঠে এক জনসভাতে এই কথাগুলি বলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু বলেন, বামেদের আমলে এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর হত। এরা এসএসসি তুলে দিয়েছে। তৃণমূল সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলুক, তারা কি কি করেছে এবং কত পদের অবলুপ্তি ঘটিয়েছে। শুভেন্দুবাবু তৃণমূলকে কাটমানি খোর এবং গরু চোর বলে কটাক্ষ করে বলেন তৃণমূলের এমএলএর পিএ’রা সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। ২০২১ সালে রাজ্যে পরিবর্তন আসবে এবং পদ্ম ফুটবে, সোনার বাংলা তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আমি ক্ষমতালোভী নয়। সমস্ত গ্রাম আমি জানি, আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। করোনা ভ্যাকসিনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর এবং দেশের বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন। শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির নাম বদল করে পশ্চিমবঙ্গে চালাচ্ছে এই তৃণমূল সরকার। পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়ে এখন বেকারের সংখ্যা দুই কোটি। আর মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভার নাম করে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর তৃণমূলের পার্টি অফিসগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অফিসগুলো খোলার লোক ছিল না। তখন তোলাবাজ ভাইপোকে দেখা যায়নি, আর তিনি তখন সাহস যুগিয়েছিলেন অফিস খোলার জন্য। এখন তাকে বিশ্বাসযোগ্যতার সার্টিফিকেট নিতে হবে ওদের কাছ থেকে?
এদিনের সভায় চন্দ্রকোনা ১ এবং চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রী সহ প্রায় হাজারখানেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। চন্দ্রকোনা ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের ব্লক যুব সভাপতি, মহিলা টিএমসি সভাপতি, জেলা নেতা যথাক্রমে সুদীপ কুশারী, সোনালি ঘোষ, গৌতম ভট্টাচার্য, অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা পাঁচকড়ি ঘোষ সহ অনেকে আজ বিজেপিতে যোগ দান করেন।
এদিনের সভায় বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ প্রশ্ন করেন, আমাদের নেতা এলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বহিরাগত। আর কেডি সিং কে ছিলেন? তিনি বলেন, এখন ওদের রাতে ঘুম হয় না এই কারণে যে, কে দল ছাড়লো আর কে ধরা পড়ল এই চিন্তায়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে চোরের দল এবং ধোকাবাজ বলে কটাক্ষ করেন। এদিনের সভায় ছিলেন ঘাটালে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, ঘাটালের সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রাম কুমার দে সহ বিভিন্ন মন্ডল সভাপতি এবং অন্যান্য নেতারা।