আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৯ সেপ্টেম্বর: জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডা পাড়ার দিশারী নার্সিং এন্ড টেকনোলজিকাল সেন্টার স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়াই বেআইনিভাবে চলছে বলে অভিযোগ। এই নার্সিং সেন্টারে প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ৫-৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত নার্সিং ট্রেনিং করানোর নাম করে। অসংখ্য পড়ুয়াদের থেকে কোটি কোটি টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই চলছিল দিশারি নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিকাল সেন্টার বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় নার্সিংয়ের প্র্যাকটিকাল ক্লাসও চলত এই সেন্টারে এমনটাই অভিযোগ, যা বেআইনি। দিশারি নার্সিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা ও তাঁর স্ত্রী অনুস্মিতা শর্মার বিরুদ্ধে বেআইনি সেন্টার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য দফতর অভিযোগ পেয়ে সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে মঙ্গলবার।
জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বেআইনিভাবে এই সেন্টার চালানো হচ্ছিল।
সেই অভিযোগ পেয়েই ডেপুটি সিএমওএইচ ড: সুখেন্দু বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল দিশারি নার্সিং সেন্টারে অভিযান চালান। জানাগেছে, শান্তনু শর্মা তার শ্বশুড়বাড়িতে সেন্টারটি চালাতেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মাকে ফোন করা হলে তিনি আসেননি।এরপর তার স্ত্রী অনুস্মিতা শর্মা দির্ঘক্ষণ পর নার্সিং সেন্টারে আসেন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলেন। নার্সিং সেন্টার চালানোর তারা বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। অভিযোগ, নার্সিং, প্যাথলজি, এক্সরের নাম করে টাকা নিয়ে ট্রেনিং সেন্টার চালানো হত। যে সার্টিফিকেট দেওয়া হত তা নাকি অবৈধ।
শান্তনু শর্মার শ্বশুড় বিমল বিশ্বাস বলেন, আমার বাড়িতে সেন্টার চালায়। বৈধ কিনা জানি না।”
ডেপুটি সিএমওএইচ ড: সুখেন্দু বিশ্বাস জানান, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে তারা দিশারি নার্সিং সেন্টারের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে সমস্ত ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে তার বৈধ কাগজ দেখতে এসেছিলাম।কিন্তু কোনো কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে।আমি সম্পূর্ণ রিপোর্ট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জমা দেব।
এদিকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীম হালদার বলেন, দিশারি নার্সিং সেন্টার অবৈধভাবে চলছে।প্যাথলজি, এক্সরের জন্য অনুমতি নিতে হয়। ক্লিনিক্ল্যাল এস্টাব্লিসমেন্ট লাইসেন্স এই সেন্টারে নেই। এমন অভিযোগ আসার পরেই আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম সেখানে পাঠিয়েছি খোঁজখবর নেবার জন্য।
এদিন শান্তনু শর্মার মামা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, শান্তনু বাড়িতে নেই। আর তার স্ত্রী কোনো বক্তব্য দেবে না। দিশারি নার্সিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের কোনো লাইসেন্স নেই। সেটার তদন্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম এসেছিল। এদিকে শান্তনু শর্মার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।