“পরিকাঠামো থাকা সত্বেও সাধারণ মানুকওষ পর্যাপ্ত জলের পরিষেবা পাচ্ছেন না,” দাবি জলপাইগুড়ি তৃণমূল ‘ল’ সেলের সভাপতির

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৭ আগস্ট: পরিকাঠামো রয়েছে, তারপরেও জলপাইগুড়ির সাধারণ মানুষ পর্যাপ্ত জলের পরিষেবা পাচ্ছেন না সম্মেলনের সভামঞ্চ থেকে এরকম আক্ষেপ করলেন জেলা তৃণমূল ‘ল’ সেলের সভাপতি গৌতম দাস। শুধু তাই নয়, “আসলাম মুখ দেখালাম সংগঠন করলাম। যখন যে দায়িত্বে আসবে তাঁর পিছনে পিছনে দৌঁড়ালাম। আমি আমার নিজের জায়গায় নিশ্চিত থাকলাম।” রবিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর শাখার জলপাইগুড়ি প্রথম জেলা সম্মেলনে এই সুরে একরাস আক্ষেপ প্রকাশ করলেন গৌতম বাবু। এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের অন্দরে চলছে জল্পনা।

এ দিন সদর পঞ্চায়েত সমিতির পেক্ষাগৃহে সম্মেলন হয়৷ সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, যুব জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ‘ল’ সেলের সভাপতি গৌতম দাস। সভা মঞ্চে তিনি আরও বলেন, “যাকে যে জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে সেই কাজটাই করতে হবে। তাহলে কাজটা সঠিক হবে। জল সম্পদের পরিকাঠামো সঠিক আছে। কিন্তু তারপরেও তিন বছর ধরে রিভিউ হয় না। সার্ভের উপর জোর দিতে হবে। সমস্ত তথ্য আমি জানি।”

এদিকে সংগঠনের দাবি, দফররের কর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট কম। যদিও সরকারি কর্মচারি ফেডারেশন জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের সভাপতি রাজীব মণ্ডল বলেন, “কর্মী সংখ্যা কম রয়েছে। একাধিক প্রকল্পের কাজ নিয়ে ব্লকে ব্লকে কাজ করতে হয় কর্মীদের। পরিকাঠামো রয়েছে যে কথাটা গৌতম বাবু বলেছেন সেই বিষয়টি দফতরের সাহেবরা বলতে পারবেন।”

এদিকে রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান বলেন, “গৌতম বাবু শুনে বলেছেন। আমি বক্তব্যের বিষয়টি অনুসন্ধান করব। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *