সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩ জুলাই: বাঘমুন্ডির বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হল শিক্ষা দফতর। প্রথম পর্যায়ে ১০ জন শিক্ষককে অন্যান্য স্কুল থেকে বাঘমুন্ডির ৬ টি স্কুলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। রবিবার বাঘমুন্ডির বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকের পর একথা জানান পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজর নন্দা।
‘শিক্ষক সংকট’ মেটাতে বাঘমুন্ডির হাইস্কুলগুলিতে আরও শিক্ষক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন জেলাশাসক। এদিন দুপুরে বাঘমুন্ডিতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিক, বাঘমুন্ডি এলাকার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা থানার ওসি এবং বিডিওকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন জেলাশাসক। ছিলেন বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত।
অন্যদিকে, বাঘমুণ্ডির একাধিক স্কুলের শিক্ষক বদলির কারণে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। সমস্যায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপাত। ফলে শিকেয় উঠেছে প্রাত্যহিক পঠন পাঠন। স্কুলগুলিতে নিয়ম মেনে নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার অচলাবস্থা কাটানোর দাবিতে সোমবার বাঘমুণ্ডি বনধের ডাক দিয়েছে স্থানীয় ব্লক কংগ্রেস কমিটি। বাঘমুণ্ডি ব্লক কংগ্রেস কমিটির তরফে লিফলেট ছড়িয়ে এলাকার স্কুলগুলির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, একাধিক স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। এমন বেহাল দশা যে, শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে নিয়মিত সমস্ত ক্লাস নেওয়াও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে স্কুলগুলির পক্ষে। লিফলেটে দাবি করা হয়েছে, হাজারের বেশি পড়ুয়া থাকা বাঘমুণ্ডি উচ্চ মাধ্যমিক গার্লস স্কুলে চলে গিয়েছেন ৬ জন শিক্ষক আছেন মাত্র ২ জন। বীরগ্রাম হাই স্কুলে প্রায় ২০০০ এর কাছে পড়ুয়া, ৬ জন শিক্ষক চলে গিয়েছেন, ২ জন চলে যাবেন, রয়েছেন ২ জন শিক্ষক। নেতাজি আশ্রম বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা চলে যাওয়ায় ১৭০০ -র বেশি পড়ুয়া সামলাচ্ছেন ৭ জন। সুইসা হাইস্কুলে ২০০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী, কিন্তু আছেন মাত্র ৮ জন শিক্ষক। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৪ জন শিক্ষক, বাঘমুণ্ডি হাইস্কুলে প্রায় ২৮০০ এর বেশি পড়ুয়া কিন্তু শিক্ষক ১৫ জন হলেও আগামী বছর একসঙ্গে ৫ জন অবসর নেবেন। মাউনিয়া আপার প্রাইমারি স্কুল ও মুকরুব জুনিয়র হাইস্কুলে কোনো শিক্ষকই নেই। একইরকম ভাবে শিক্ষকের অভাব অযোধ্যা হাইস্কুল, অযোধ্যা জিএসএটি বিদ্যালয়, ধনুডি হাইস্কুলেরও।
বনধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান জেলাশাসক।