অহিংস আন্দোলনের ধর্না মঞ্চে কংগ্রেস বিধায়ক

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২৩ ডিসেম্বর: বাংলাকে পথ দেখালেন হাঁসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। তাঁর পথেই এবার বিধায়কদের একদিনের ধর্না মঞ্চে বসার নির্দেশ দিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মানুষের সমস্যা সৃষ্টি না করে অহিংস পথেও আন্দোলন করা যায় সেটা বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক। ধর্না মঞ্চের ষষ্ঠ দিনে ফের এমনই বার্তা দিলেন হাঁসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। এবার একই ভাবে প্রত্যেক বিধায়ককে নিজের এলাকায় একদিনের ধর্না মঞ্চে বসার নির্দেশ দেওয়া হল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে ১৮ ডিসেম্বর ধর্না মঞ্চ করে বসেছিলেন বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। প্রথমে রামপুরহাট ভাঁড়শালা মোড়ে ধর্না মঞ্চ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন বিধায়ক। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় রামপুরহাট মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে কাঠের পাটাতন নিয়ে বসে পড়েন। গুটি কয়েক কর্মী সমর্থক নিয়ে তার ধর্না মঞ্চ সোমবার ষষ্ঠ দিনে পড়ল। এই কনকনে শীতে ধর্না মঞ্চেই রাত কাটাচ্ছেন মিল্টন। এখনো পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনও কর্তা তাঁর সঙ্গে দেখা না করলেও দিল্লি থেকে আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে আসেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে যান। এসেছিলেন আইএনটিইউসি’র জেলা সভাপতি মৃণাল বসু, কিষাণ ক্ষেতমজুর সংঘের জেলা সভাপতি সৈয়দ কাসাফদ্দোজা। মঞ্চে এসে সমর্থন জানিয়ে যান প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম।

মিল্টন বাবু বলেন, “প্রচুর জমায়েত করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট মানে নিজেদের ক্ষতি। কারণ আমাদের করের টাকায় সরকারি সম্পত্তি কেনা হয়। ফলে সেই সম্পত্তি নষ্ট মানে করের বোঝা বাড়ানো। নিজের বাড়ির সম্পত্তি নষ্ট করা। সেই কারণেই আমি অহিংস আন্দোলনে নেমেছি। প্রতিদিন রাজ্যপালকে ফ্যাক্সবার্তায় আইনের বিরোধিতা করে বার্তা পাঠানো হচ্ছে। এভাবে আন্দোলন করেই সরকারের ভিত নড়িয়ে দেওয়া যায়। সেই বার্তা দিতেই আমরা অহিংস আন্দোলনের পথে নেমেছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *