
সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২৬ নভেম্বর: যে মহত্ উদ্দেশ্য নিয়ে সংবিধান রচিত হয়েছিল, সেটা কী দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মনে রাখেন? হয়তো না। তার প্রমাণ নিত্যদিন ঘটছে এই রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রদেশে। গতকাল এক প্রার্থীকে লাথি মেরে রাজনীতির নতুন পথ সেখাচ্ছেন ভিন দলের কর্মীরা। অন্যদিকে, রাজ্যের উন্নয়ন করার জন্য সব রকম নীতির বিসর্জন দিয়ে নীতি হারিয়ে খবরের শিরোনামে আসছেন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন দলের সদ্য নির্বাচিত বিধায়করা। তাহলে কি দেশের গর্বের সংবিধান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে? এই রকম নানা প্রশ্নের মধ্যেও দেশের এক প্রত্যন্ত জেলা সদরে সংবিধানকে মর্যাদার শিখরে নিয়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা।
মর্যাদার সঙ্গে ভারতের সংবিধান দিবস উদযাপন হয়ে গেল পুরুলিয়ায়।
মঙ্গলবার,পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সংবিধান প্রণেতা ড. ভিম রাও অম্বেদকরের মূর্তির সামনে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়। অম্বেদকরের আবক্ষ মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টজনেরা। আম্বেদকর জাগ্রিতি সমিতির সভাপতি বাদল রাম, ভারতীয় ডোম সমাজের সভাপতি নিরোধ কালিন্দী,আদিবাসী সমাজের পক্ষে নবেন্দু মাহালি, রুহিদাস সমাজের গাড্ডু দাস, বাউরি সমাজের পক্ষে বাবলু, বাউরি হাঁড়ি সমাজের পক্ষে বিনয় সহিস প্রমুখ ব্যক্তি ফুল দিয়ে আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুরুলিয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মহুলঘুটা এলাকাতেও আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা পরিয়ে দিনটি পালন হয়।
১৯৪৯ সালের আজকের দিনে ভারতের সংবিধান গণপরিষদ গৃহীত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভারতীয় সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকরি হয়।