
সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৫ নভেম্বর: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে তার নবনির্মিত মূর্তি ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আজ বাঁকুড়া শহরের উপকন্ঠে পোয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মূর্তির উম্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্ৰামের বেলপাহাড়িতে আয়োজিত এক সভা থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এই মূর্তির উন্মোচন করেন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল।
কারামন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্বন্ধ্যে বিরূপ মন্তব্য করার পর আদিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে। এই ক্ষোভে প্রলেপ দিতে বিরসা মুন্ডার মূর্তি অনেকটাই সাহায্য করবে বলে শাসক দল মনে করলেও মূর্তি ঘিরে আদিবাসীদের ক্ষোভ দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পোয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মূর্তির আবরন উন্মোচন করেন। মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার মূর্তির আদল ফুটে উঠেনি বলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
তারপরই ওই মূর্তির একটু দূরে ফের একটি মূর্তি তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে তৃণমূল। তখন তৃণমূলের বক্তব্য ছিল এক শিকারির মূর্তিকে বিজেপি বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে আদিবাসীদের অপমান করছে। ২০২০ সালের এই ঘটনার সময় চল্লিশ ফুটের একটি নতুন মূর্তি তৈরী করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী আজ ওই মূর্তির আবরন উন্মোচন করার পরই উপস্হিত আদিবাসী মানুষ জন মূর্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সব ব্যক্তিরা বলেন, এটা বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে মনে হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই আদিবাসী বিকাশ পরিষদ এই মূর্তির প্রতিবাদে সরব হয়।
পোয়াবাগানে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেলা সভাধিপতি মৃত্যঞ্জয় মুর্মু, মন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি, জেলা শাসক রাধিকা আইয়ার, পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ ব্যক্তিগণ।