ডিএ-র টাকা কোথায় গেল, জানতে চায় কো-অর্ডিনেশন কমিটি

আমাদের ভারত, কলকাতা, ১০ মার্চ: “মহার্ঘভাতা দেওয়া হয়নি। কোথায় গেল সেই টাকা, কিসে খরচ হল?“ তার কৈফিয়ৎ চাইল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

মহার্ঘভাতার দাবিতে শুক্রবার ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী জানান, “যে সরকার কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। একথা কে বলেছিলেন? তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী।

তিনি কে? তিনি গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে যখন কর্মচারীদের জন্য দরদে উথলে উঠেছিলেন, তখন বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ কত ছিল? ১৬ শতাংশ। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কি বলেছিলেন যে, “ঘেউ ঘেউ করবেন না’, ‘আর কত চাই’, “আমার মুণ্ডু কেটে নিন”, ‘আর কোনো সরকার পেনশন দেয় না, আমরা দিচ্ছি, তা কি বন্ধ করে দেব?”—না এমন কোনো কথা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেননি।

আচ্ছা মন্ত্রিসভার অন্য কোনো সদস্য কি বলেছিলেন যে, “না পোষালে চাকরি ছেড়ে দিন”, “তেলা মাথায় তেল দেব না” ইত্যাদি ইত্যাদি? না, বলেননি। তাহলে কী করেছিলেন তারা? তাঁরা বকেয়া ১৬ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার মতো অর্থের সংস্থান করেছিলেন। নির্বাচনে জিতে সেই মহার্ঘভাতা দেওয়ার দায় ছিল বর্তমান সরকারের। কিন্তু সেই টাকায় মহার্ঘভাতা দেওয়া হয়নি। কোথায় গেল সেই টাকা, কিসে খরচ হল কেউ জানে না।

ফলে মহার্ঘভাতা নিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিল সেই সময় থেকেই। কেন্দ্রের বঞ্চনা আর ধারের বোঝায় (নিজেদেরই কৃতকর্মের ফল) ইদানিং মহার্ঘভাতা নিয়ে যা খুশি তাই তাঁরা বলছেন, তা কিন্তু নয়। তবে এটা ঠিক জনরোষ যত বৃদ্ধি পায়, স্বৈরতন্ত্রের আস্ফালনও তত বৃদ্ধি পায়। তাঁরা মনে করেন হুঙ্কার আর আস্ফালন দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তা যায় না, যায় না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *