আমাদের ভারত, ১৫ জুন: নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের করোনা সংক্রমণ একেবারে শীর্ষে উঠতে পারে। আর তখন আইসিইউ বেড বা ভেন্টিলেটরের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমন ধারণাই উঠে এসেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ গঠিত অপারেশন্স রিসার্চ গ্রুপের সমীক্ষায়।
গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৯২৯। মৃত্যু হয়েছে ৩১১ জনের। সমীক্ষা বলছে লকডাউন হয়েছিল বলেই ভারতে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছাতে ৩৪ থেকে ৭৫ দিন দেরি হচ্ছে। আর এর ফলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া গেছে। সংক্রমিত সংখ্যা যা হওয়া উচিত ছিল তার চেয়ে ৬৯-৯৭ শতাংশ কম। সমীক্ষা আরো জানিয়েছে লকডাউনের পরে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ৬০% জোরদার হয়েছে। এর ফলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোয় কোনো ঘাটতি হবে না।
কিন্তু তার পরেই ধীরে ধীরে আইসোলেশন বেডের অভাব দেখা দিতে পারে। টানাটানি হতে পারে আইসিইউর বেড নিয়ে। ঘাটতি হতে পারে ভেন্টিলেটরের। তবে সবটাই বর্তমান অবস্থার নিরিখে পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করে আশংকা করা হচ্ছে। তবে টানাটানির এই ছবিটা যা হতে পারত তার চেয়ে ৮৩ শতাংশ কম বলে মত গবেষকদের। আর লকডাউনের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
তবে আনলকের প্রথম পর্বে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এরমধ্যে আগামীকাল থেকে মুম্বাইতে খুব কম সংখ্যায় হলেও লোকাল ট্রেন চালু হবে জরুরী পরিষেবার কর্মীদের জন্য।
সমীক্ষকদের মতে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আওতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো গেলে তবেই এই অতিমারি কমতে পারে। লকডাউনের সময় পরিকাঠামো যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সংক্রমণ শীর্ষে পৌছানোর পর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ শতাংশ এবং নতুন রোগীর সংখ্যা ২৭ শতাংশ কমে আসতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসার ফলে ৬০% মৃত্যু ঠেকানো গেছে। জরুরী চিকিৎসায় ঘাটতি পূরণের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।