
আমাদের ভারত, ৫ সেপ্টেম্বর:প্রথম থেকেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই সাড়ে আট লক্ষ পেরিয়েছে। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। মুম্বই, পুনে নয় ঔরাঙ্গাবাদ,আহমেদনগর কোলাপুর, সলারপুরের মতো ছোট ছোট শহরগুলিতেও ব্যপক হারে সংক্রমণ বাড়ছে। হিসেব বলছে শেষ দু’সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমনের গতি বেড়েছে অনেকখানি। এই সময়সীমার মধ্যে বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ। অংকের হিসেবে দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ১৯ হাজার হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার মতো।
তবে রাজ্য প্রশাসনের একাংশের দাবি নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ার ফলেই সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। আগে দিনে গড়ে ৫০ হাজার পরীক্ষা হতো। গত সপ্তাহে তা পৌঁছেছে ৭০ হাজারে। শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক ৯৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আর তার ফলেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের করোনা পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের তৈরি কম্পিউটার মডেলিং জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। তাই পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হতে পারে ধরে নিয়ে সম্ভাব্য ক্ষতির নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন ওই সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের তরফে আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং সরকারি দপ্তরে পুরো হাজিরা চালু না রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় বিধি নিষেধ বলবৎ রাখার পরামর্শও দিয়েছে।
বর্তমানে ভারতে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ বলছে মহারাষ্ট্র, অন্ধপ্রদেশ, কর্নাটকের মত জনবহুল রাজ্যের পাশাপাশি ঝাড়খন্ড ছত্রিশগড়ের মত ছোট রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ঝাড়খন্ডে ১২ হাজার ও ছত্রিশগড়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।