জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৪ জুলাই:
জেলা প্রশাসনের শত তৎপরতা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিনে জেলায় নতুন করে তেতাল্লিশ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তরা মেদিনীপুর শহর, কেশিয়াড়ি, সবং, দাসপুর, ঘাটাল পৌরসভা, ঘাটাল ব্লক, খড়গপুর ও মাদপুর এলাকার বাসিন্দা।
১৭ জুলাই মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুর এলাকার প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ১৯ জুলাই তার এক মেয়ের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী এবং আরেক মেয়ের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বেলদা শহরের বিদ্যাসাগর পল্লীতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে এক পরিবারের তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সবং ব্লকের ছয়, আট ও এগারো নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। দাসপুরে আক্রান্ত হয়েছেন পনেরো জন। ঘাটাল পৌরসভা এলাকায় একজন এবং ব্লক এলাকায় দুজন আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য ভবনের প্রকাশিত রিপোর্টে খড়গপুর শহরে নতুন করে এগার জনের এবং গ্রামীণ এলাকার তিনজনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আক্রান্তরা শহরের নিমপুরা, মালঞ্চ, ইন্দা, মথুরাকাটি এবং গ্রামীণ এলাকার মাদপুরের বাসিন্দা। খড়্গপুরে এই নিয়ে মোট বিরানব্বই জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আজ শুক্রবার থেকে দিনে সাড়ে ছয় ঘন্টা ছাড় দিয়ে চৌদ্দ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে খড়গপুর শহরে। রেল শহর জুড়ে চলছে পুলিশি টহল।
এদিকে জেলার করোনা আক্রান্তদের জন্য শুক্রবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতালে জেলার প্রথম সেফ হোম চালু হয়েছে। এখানে পুরুষদের জন্য কুড়িটি এবং মহিলাদের জন্য কুড়িটি শয্যা রয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণ কিছুটা বাড়তে থাকলেও উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জেলাশাসক রেশমি কমল জানিয়েছেন।