আমাদের ভারত, ২৯ ডিসেম্বর: যে কোনো মুহূর্ত থেকেই দেশে লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের হার। এমনটাই জানিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক বড় শহরে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কলকাতাতেও দৈনিক সংক্রমণ হাজারের বেশি। মুম্বাইয়ে দৈনিক সংক্রমণ দু’হাজারের আশেপাশে।এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেই আরও আশঙ্কা বাড়িয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে ভারতে কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের হার লাগামছাড়া হারে বাড়তে পারে। করোনা সংক্রমনের ঢেউ দেখা দিতে পারে। যাতে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঢেউ খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে অনুমান করছেন গবেষকরা। কিন্তু ১৪০-কোটি দেশে এই ওমিক্রনের দাপট যথেষ্ট উদ্বেগজনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাজ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক পল কাট্টুমানের ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি ট্র্যাকার বলছে ভারতের দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এক বিস্ফোরক বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেছেন কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ বাড়তে শুরু করবে। সম্ভবত এই সপ্তাহের মধ্যেই তবে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে সেটা সঠিক ভাবে অনুমান করা কঠিন বলে মনে করেছেন তিনি।
কেমব্রিজের গবেষক দলের মত অনুসারে দেশের ৬টি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশেরও বেশি। ক্রমেই বেড়ে চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র গণ্ডি পার করেছিল। একদিনেই তা ৮০০-র দোর গোড়ায় পৌঁছে গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্ররকে তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮১। দেশের ২১টি রাজ্যের ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। ওমিক্রন সংক্রমনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। সেখানে এক ধাক্কায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৮ দাঁড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৭। গুজরাট, কেরালা, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে ওমিক্রন মোকাবিলায় ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ ও প্রবীনদের বুস্টার ডোজের কথা ঘোষণা করেছে সরকার।