আমাদের ভারত, ১৭ জুলাই: মারন ভাইরাস করোনার দাপট ক্রমশই বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই নতুন তথ্য। সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা খুব সহজ নয়। কারণ সম্প্রতি যে গবেষণা হয়েছে তাতে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া যথেষ্ট জটিল ও দীর্ঘ মেয়াদী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে শরীরে জাঁকিয়ে বসছে করোনা। মানসিক শারীরিক ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি সাধন করেছে এই ভাইরাস। তাই দেখা গেছে সেরে ওঠার পরও করোনা ছাপ ফেলেছে রোগীর শরীরে।
ক্লিনিক্যাল গবেষকরা বলছেন, সেড়ে ওঠার পরেও রোগীরা অসম্ভব দুর্বল হয়ে পড়ছেন। ক্লান্তি থাকছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সরে ওঠার পরেও কমপক্ষে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগছে রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। এর ফলে রোগীর সম্পূর্ণ সেরে উঠতে প্রায় এক মাস লাগছে।
কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী হলেও মস্তিষ্কে চাপ ফেলছে করোনা বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়। কিছু রোগী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন।
আগে মনে করা হচ্ছিল শুধু ফুসফুসেই আক্রমণ করে এই ভাইরাস। পরে দেখা দেয় হার্ট, ব্রেইন,অন্ত্র, কিডনিতে অসুখ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সেরে ওঠার পরও যে উপসর্গ রোগীর মধ্যে থেকে যাচ্ছে তাহল শুকনো কাশি, মানসিক অবসাদ ,ক্লান্তি।
তবে এরই মধ্যে সুখবর আছে। ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে সবার আগে যারা আলো দেখাতে শুরু করেছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। খুব তাড়াতাড়ি তারা কোন সুখবর আনতে চলেছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ইতিবাচক রেজাল্ট আসতে পারে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে তৃতীয় ধাপের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। কিন্তু প্রথম ধাপের রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়নি। তাই এটা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। জুলাইয়ের শেষে তার ফলাফল আসবে বলে জানা গেছে। সারা বিশ্বজুড়ে একগুচ্ছ করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। তবে তার মধ্যে অক্সফোর্ডের গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।