আমাদের ভারত, ১৬ জুন: হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। যা চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সহ সকলের। শেষ দুই সপ্তাহের বেশি সময় প্রায় প্রতিদিনই ৯ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। সেই সংখ্যা কখনো ১০ কখনো বা ১১ হাজারও অতিক্রম করে গেছে। তবে স্বস্তির খবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত বুলেটিনে দেখা গেছে, নতুন সংক্রমণ ১০ হাজারের বেশির সঙ্গে সুস্থতার হয়ে ওঠার সংখ্যাও ১০ হাজারের বেশি। হিসেব বলছে এখনো পর্যন্ত করোনায় সুস্থতার হার ৫২.২ শতাংশ।
দেশে আজ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তসংখ্যা ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯১। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন লাখের দোড় গোড়ায়। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৬৭ জন। সারা দেশে দেড় লাখের কাছাকাছি সক্রিয় কেস রয়েছে এই মুহূর্তে। শেষ ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৯ জনের। এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৯৯০০।
মেমাসের শেষ ও জুন মাসের শুরু থেকে যেভাবে সংক্রমণ বেড়েছে তাতে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। মহারাষ্ট্র তামিলনাড়ুর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ৫০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে মুম্বাইয়ের সংক্রমণের সংখ্যা। তবে তার মধ্যেও স্বস্তির খবর একটাই আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আশার আলো ধারাভি ও ওড়লি বস্তি। গত এক সপ্তাহে ধারাভি বস্তিতে করোনায় একটিও মৃত্যু হয়নি। সংক্রমনের হার কমেছে। বেড়েছে ডাব্লিং রেট হওয়ার সময়। ধারাভিতে সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যান ৫০%।
তবে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে। আজ অব্দি দিল্লিতে সংক্রমনের সংখ্যা ৪২ হাজার ৮২৯। মৃত্যু হয়েছে ১৪০০ জনের। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০ জুন থেকে দিল্লিতে প্রতিদিন ১৮ হাজার মানুষের করোনা নমুনা পরীক্ষা হবে। কন্টেইনমেন্ট জনের প্রতিটি বাড়িতে যাবে মেডিকেল টিম। কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং-র কাজ আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে তামিলনাড়ু ও গুজরাটের অবস্থাও খারাপ। তামিলনাড়ুতে সংক্রমণের সংখ্যা ৪৬ হাজারের বেশি। গুজরাটে ২৪ হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত। তবে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে বলছে গত ২৪ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ২১৪ জন। এর ফলে মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার। এতেই বেড়েছে সুস্থতার হার। এখন সুস্থতার হার ৫২.৫ শতাংশ। আর এটাই চরম উদ্বেগের মধ্যে আশার আলো।
এখন সারা ৯০১ টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিদিন ১ লাখ নমুনা পরীক্ষার কাজ হচ্ছে। বেশি পরীক্ষা হওয়ায় দ্রুত ধরা পড়ছে সংক্রমণ। দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ায় চিকিৎসাও শুরু হচ্ছে দ্রুত। ফলে সুস্থতার হার বাড়ছে বলে মত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।