রাজ্যে করোনা সন্দেহে ৬৯ জন ভর্তি রয়েছেন সরকারি হাসপাতালে, গৃহ পর্যবেক্ষণে আছে সাড়ে ৫ হাজার

আমাদের ভারত,১৬ মার্চ:গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত কারোও শরীরে করোনার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে করোনা আতঙ্কে অনেকেই গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছুঁয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর সূত্রে খবর করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে আসা মোট ৫৮৫৬ জনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তার মধ্যে ২৪৬ জনকে সম্পূর্ণ বিপদ মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৫৫৯৮ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে করোনা সন্দেহে মোট ৬৯ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে বিশেষ পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

গোটা বিশ্বের সঙ্গে রাজ্যবাসীও করোনা আতঙ্কে ভুগছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বারবার আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। চালানো হচ্ছে জনসচেতনতামূলক প্রচার। কেন্দ্রের সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলছে রাজ্য। পরিস্থিতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানানো হচ্ছে কেন্দ্রকে।

এই সময় এমনিতেই আবহাওয়া বদলের কারণে সর্দি কাশির জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। আর তার সাথে এই বছর ঘন ঘন আবহাওয়া বদলের কারণে আরো বেশি পরিমাণে শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।আর করোনা আতঙ্কের কারণে সাধারণ সর্দি-কাশি জ্বর হলেও রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন মানুষ।

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন সর্দি-কাশি-জ্বর উপসর্গের পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদেরকে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১৪দিনের গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ২৪ঘণ্টার একটি কল সেন্টার খোলা হয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। যে কোনরকম সাহায্যের জন্য 033 23412 600 অথবা1800 313444 222 নম্বরে ফোন করার কথা বলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।

রাজ্যের বিমানবন্দরগুলোতে করোনা মোকাবিলায় চালানো হচ্ছে নজরদারি। কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে ৭৩ হাজার ৫৭৭ জনের থার্মাল স্ক্যানিং-এর মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। কলকাতা হলদিয়া বজবজে, জাহাজ বন্দরে ৩৯৮৯ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

নেপাল এবং বাংলাদেশ সীমান্তে ৭টি পয়েন্টে খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। রাজ্যজুড়ে ১৬৩ আইসোলেশন বেড তৈরি রাখা হয়েছে।রাজারহাটের ক্যান্সার হাসপাতালে পাঁচ তলায় কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ফ্রান্স থেকে ফিরে আসা ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আপাতত ১৪ দিন এই কোয়ারান্টিনে তাকে থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *