করোনা পরীক্ষা হবে মাত্র ৪০০ টাকায়, রিপোর্ট আসবে ১ ঘন্টায়, খড়গপুরের ২ বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিস্কারে হইচই

আমাদের ভারত, ২৫ জুলাই:
প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ব্যাতিক্রম নয় ভারত। আর এই সংক্রমন মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা বার বার বেশি বেশি টেস্টের উপর জোর দিয়েছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে খড়গপুর আই আই টির গবেষকরা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, যাতে মাত্র ১ ঘন্টায় টেস্টের রিপোর্ট জানা যাবে। এখন করোনা পরীক্ষা করতে ল্যাবরেটরি ও RT-PCR ম্যাশিনের প্রয়োজন হয়, যা যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। কিন্তু খড়গপুর আই আই টির গবেষকদের আবিস্কৃত যন্ত্রটিতে পরীক্ষার খরচও অনেক কম।

এই যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হলে আগামী দিনে ল্যাব বা RT-PCR-এর আর প্রয়োজন হবে না। সাধারণত মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যাবে এই পরিষেবা।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা টেস্ট বিনামূল্যে হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেশ খরচ করেই সাধারণ মানুষকে টেস্ট করাতে হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা টেস্টের জন্য সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে বেঁধে দিয়েছে আইসিএমআর। কিন্তু খড়গপুরে আবিস্কৃত এই যন্ত্রে করোনা পরীক্ষা শুরু হলে সেই খরচ দশ ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে। টেস্ট করতে খরচ হবে ৪০০ টাকা মতো। টেস্টের ফলাফল জানা যাবে অ্যাপসের মাধ্যমে। গবেষকদের দাবি টেস্ট রিপোর্ট নির্ভুল আসবে তাদের আবিষ্কৃত এই যন্ত্রে।

দেশের এই চুড়ান্ত সংকটের সময় এই কম খরচের যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন, খড়গপুর আই আই টির দুই বাঙালি বিজ্ঞানী। স্কুল অফ বায়োসায়েন্সের ডক্টর অরিন্দম মন্ডল ও ম্যাকানিকল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী।
এই যন্ত্রে তারা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন , তাতে ক্যামিক্যাল অ্যানালাইসিস ও ফলাফল দেখতে মাত্র সাধারণ ডিসপোজাল একখন্ড কাগজ প্রয়োজন।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ছোট্ট এই যন্ত্রটির মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা ছাড়াও অন্য ধরণের RNA ভাইরাসও শনাক্ত করা যাবে। একই জেনেরিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সব টেস্ট করা সম্ভব বলেই এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ফলে আগামী দিনে যদি কোনো ভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর আকার ধারণ করে তখন এই যন্ত্রটি কার্যকর থাকবে সমভাবেই।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এই যুগান্তকারী আবিষ্কারে উচ্ছ্বসিত খড়গপুর আই আই টি র ডিরেক্টর অধ্যাপক ভিকে তিওয়ারি। করোনা মোকাবিলায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *