আমাদের ভারত, ১৮ ডিসেম্বর:করোনার টিকা নেওয়া ভারতের নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক হবেন তাদের অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে মন্ত্রকের পরামর্শ মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে ২৮ দিনের ব্যবধানে টিকার দ্বিতীয় ডোজ অবশ্যই নিতে হবে।
করোনার টিকাকরন নিয়ে মানুষের মনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সেই ধোঁয়াশা পরিষ্কার করতেই বৃহস্পতিবার রাতে করোনা টিকাকরণ নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রক টিকার গুণগতমান নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছে। মন্ত্রকের দাবি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতে তৈরি করোনারি টিকাও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পেলে তবেই তা বাজারে ছাড়া হবে।
একইসঙ্গে জানানো হয়েছে যারা স্বেচ্ছায় টিকা নিতে চান তাদের নিজের নাম ও ফটো সহ পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, মন রেগার জব কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের পাশ বই,সরকারি-বেসরকারি সংস্থার আইডি কার্ড অথবা ভোটার কার্ডের মধ্যে যেকোনো একটি জমা করলেই চলবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পর টিকা নিতে ইচ্ছুক দের নথিভূক্ত করা মোবাইল নম্বরে সমস্ত তথ্য দেওয়া হবে। টিকাকরণের দিনক্ষণ বা কোথায় তা দেওয়া হবে সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত অথবা যারা সম্প্রতি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তাদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ভারতে এই মুহূর্তে ছটি করোনার টিকা ট্রায়াল চলছে। টিকা গুলির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। এর মধ্যে কোন টিকাটি দেওয়া সুরক্ষিত এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রক জানিয়েছে প্রতিটি টিকাই যথাযথভাবে পরীক্ষার পর বাজারে ছাড়া হবে। সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে। তবে অন্যান্য সব টিকার মতই এই টিকা নেওয়ার পর ব্যথা বা সামান্য জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। টিকাকরণের পর তার পার্শপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হলে তা মেটাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।