আমাদের ভারত, ১৪ জুলাই: করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সবকটি ধাপ সাফল্যের সাথে শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, করোনা ভ্যাক্সিন তৈরীর ক্ষেত্রে রাশিয়া অগ্রণী স্থানে রয়েছে। রাশিয়া ছাড়া এখনো পর্যন্ত কোন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করার দাবি করেননি।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যাদের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের ২০ জুলাই ছেড়ে দেওয়া হবে। সেচনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল প্যারাসাইটোলজি ট্রপিক্যাল এন্ড ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ বিভাগের ডিরেক্টর আলেকজান্ডার লুকাশেভ দাবি করেছেন,তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। বাজারে অন্যান্য প্রতিষেধকগুলোর মতোই সমস্ত মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে এই প্রতিষেধকও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আগস্ট মাসের মাঝামাঝি করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবেন বলে আশাবাদী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন ১২ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা যাবে। এই বিষয়ে তারা আশাবাদী। এরপর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওষুধ সংস্থাগুলি রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
জানা গেছে ট্রায়ালের প্রথম দফায় ১৮ জন দ্বিতীয় দফায় ২৩ জনের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিন আইসোলেশনে রাখা হয়। আগামী ছয় মাস তাদের উপর নজর রাখা হবে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কয়েকজনের সামান্য জ্বর এবং মাথা ব্যাথার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও তা একদিনের মধ্যেই কমে গেছে বলে, জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান গবেষক।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি রাশিয়া তৈরি ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে রয়েছে। তাদের দাবি ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপ সম্পূর্ণ করতে হবে।