আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল: তীব্র রোদ মেরে ফেলবে করোনা ভাইরাসকে। নতুন করে এমনটাই দাবি করলেন আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিস সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ডিরেক্টর প্রধান। ব্রায়ান দাবি করেছেন সূর্যের তীব্র আলোয় করোনা ভাইরাসের কার্যক্ষমতা সাময়িকভাবে হারিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলছন, গরমকাল চলছে ফলে খুব বেশিদিন আর দাপট দেখাতে পারবে না করোনা। হোয়াইট হাউসের তরফে ব্রায়ান জানান মার্কিন গবেষকরা এই ইস্যুতে কাজ করছেন। গবেষকরা বলছেন, ঘরের মধ্যে শুষ্ক ও বদ্ধ পরিবেশে জীবন্ত হয়ে উঠছে এই মারণ ভাইরাস। কিন্তু সরাসরি যদি সূর্যের আলো পড়ে তাহলে কর্ম ক্ষমতা হারাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এমনকি ধীরে ধীরে মৃত্যু হচ্ছে।
মার্কিন গবেষকদের এই দাবি আপাতত আশা জাগাচ্ছে মানব কুলে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও এই রিপোর্টে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প ও গবেষকদের কথা শোনার পরে বলেছেন, ইঞ্জেকশন খাওয়ার থেকে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ঢের ভালো।
নিমুনিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ফুসফুসের রোগের মতো লক্ষণ করোনার। ফলে গরমে এই রোগ গুলির প্রতিকার হতে পারলে করোনা ভাইরাসের প্রতিকার সূর্যের আলো ও গরমে সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সিঙ্গাপুরের মতো গরম জায়গাতেও সক্রিয় রয়েছে কারোনা আর সেটাই চিন্তার কারণ বিজ্ঞানীদের।
এই তথ্য আগেও উঠে এসেছে কিন্তু সেভাবে কেউ বিশ্বাস করেনি। তাই রিপোর্ট প্রকাশের আগে যথাযথ তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন। জানা গেছে স্টেইনলে স্টিলের ওপর করোনা ভাইরাস নিজের কার্যক্ষমতা ১৮ ঘন্টা ধরে রাখে আদ্র আবহাওয়ায়। তবে সরাসরি রোদ লাগলে দুমিনিটের মরতে পারে করোনাভাইরাস।
গত ১০সপ্তাহ একটি ট্রায়াল চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা হচ্ছিল ঠিক কোন পথে করোনার জবাব আসে। প্রায় ২০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষা করেছেন গ্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ভিটামিন বি-ডি সূর্যালোকে অবস্থিত ভিটামিন মানব শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারেন না পারে কিনা তা নিয়ে চলছিল গবেষণা। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ভিটামিন ডি মানব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেসব মানুষ রোদে বের হন তাদের শরীরে ভিটামিন ডি উপস্থিতি হার বেশি।
অন্যদিকে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের গবেষকরা জানিয়েছেন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ভিটামিন ডির সাপ্লিমেন্ট খেলে ৫০% এর কম ফুসফুসের অসুখ এর আক্রান্ত হন। এদিকে করোনাভাইরাসও শ্বাস বাহিত ও ফুসফুসের অসুখ হওয়ায় ভিটামিন ডি এক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।