
আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৯ ফেব্রুয়ারি: রেশনের আটা বিলি নিয়ে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রাহকদের। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথপুর এলাকার এমন ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে চলা এমন বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় কুমারগঞ্জ থানার বিরট পুলিশ বাহিনী। তাদের আশ্বাসেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জের বিশ্বনাথপুরের ১০ নম্বর রেশন দোকানের মালিক লক্ষ্মী দাস। অভিযোগ, দীর্ঘ এক মাস ধরে ওই রেশন দোকান থেকে সরকারি আটা সঠিক পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে না গ্রাহকদের। বিষয়টি একাধিক বার জানিয়েও কোন ভ্রূক্ষেপ করেনি কর্তৃপক্ষ। গ্রাহক পিছু ৭৫০ গ্রাম করে আটা দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছিল ৪৭৫ গ্রাম করে আটা বলে অভিযোগ। দীর্ঘ প্রায় একমাস ধরে এমন পরিস্থিতি চলবার পর এদিনও একই ঘটনা সামনে আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা। শুধু তাই নয়, তেল সহ অন্যান্য সামগ্রীতেও লাগামহীন দুর্নীতি চালাচ্ছেন ওই রেশন দোকান মালিক বলেও অভিযোগ। গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে না সঠিক রশিদও। যার প্রতিবাদেই এদিন ওই রেশন দোকান মালিকের বিরুদ্ধে একপ্রকার ক্ষুব্ধ হয়ে কুমারগঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো বাসিন্দা। যার জেরে প্রায় দু’ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই রুটের যানচলাচল। যদিও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
জানাগিয়েছে, ওই রেশন দোকানটি একসময় পরিমল দাসের ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেই লাইসেন্স বাতিল করা হয় প্রশাসনের তরফে। যার পরেই রেশন দোকানটি পরিমল দাসের পরিবর্তে চলে যায় লক্ষ্মী দাসের নামে। যার বিরুদ্ধেও এবারে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গৌড় চন্দ্র মজুমদারও জয়নাল সরকাররা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের রেশন সামগ্রী বিলিতে দুর্নীতি করছে দোকান মালিক। কারচুপিও করছে বিভিন্ন সামগ্রীর ওজনে। দীর্ঘদিন ধরে এমন বিষয় চলবার পরেই এদিন রাস্তায় নেমে গ্রাহকরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
ডিলারের পক্ষে দিব্যেন্দু দাস জানিয়েছেন, ৭৫০ গ্রাম করে আটা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে কারও কাছে কম আবার কারও কাছে বেশি পরিমাণ আটা চলে যাচ্ছে। এমনটা তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।
জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।