আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৯ এপ্রিল : লকডাউনের সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংস্থা বা মানুষ ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছেন এলাকার মানুষের জন্য। তবে ত্রাণ সামগ্রীতে চাল, ডাল, তেল, নুনের সঙ্গে আস্ত মুরগি সম্ভবত এই প্রথম। তবে এই ত্রাণ সামগ্রী শুধু মাত্র গরিবদের জন্য নয়। গরিব বড়লোক সবার বাড়িতেই পৌঁছে গেছে এই সামগ্রী।
তমলুক পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়ার উদ্যোগে এই ব্যবস্থা। সারাদেশের সঙ্গে তমলুকেও লকডাউন চলছে গত ২৪ মার্চ থেকে। তমলুক পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চঞ্চল লকডাউনের পর থেকেই ওয়ার্ডের মানুষদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী পাঠিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। কখনো চাল, আলু, পেঁয়াজ কখনো ডাল, তেল, মশলা কখনো মুড়ি। কখনো আবার বড়দের জন্য চা বিস্কুট এবং বাচ্চাদের জন্য দুধ। নিত্য প্রয়োজনীয় কোনও জিনিসই মনে হয় বাদ নেই এই তালিকায়। তবে তিনি তাঁর ওয়ার্ডের বাচ্চাদের জন্য আজ যা দিলেন সেটা দেখে একেবারে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মত অবস্থা। আলু, পেঁয়াজ, তেল, মসলার সঙ্গে একটা আস্ত মুরগি দিয়েছেন তিনি। যা হাতে পেয়ে রীতিমত অবাক এলাকার গরিব বড়লোক সব বাসিন্দা। আজ যে জিনিসগুলো তিনি দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রীতে সেগুলো একবার ভাল করে জেনে নিন। ওয়ার্ডের প্রায় ১০০০ টি পরিবারের হাতে চঞ্চল খাঁড়া তুলে দিয়েছেন- চাল ৩ কিলো, আলু আড়াই কেজি, মুসুর ডাল ৪০০ গ্রাম, সরিষার তেল ৩০০ গ্রামের বোতল, পেঁয়াজ ৫০০ গ্রাম, সয়াবিন বড়ি ২০০ গ্রাম, হলুদ গুঁড়ো, লংকা গুঁড়ো, সঙ্গে দেড় কিলো থেকে দু কিলোর গোটা মুরগি।
বিরোধীরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন, লকডাউনে মানুষকে সাহায্য করা নয় আগামী পৌরভোটে ভোট কিনতে এই উদ্যোগ। কাউন্সিলর অবশ্য জানিয়েছেন যে মানুষ দীর্ঘদিন গৃহবন্দী। যাতে কেউ বাড়ির থেকে না বেরোয় সেই কারণেই আগে চাল-ডাল তেল-মসলা দিয়েছি দুবার ধরে। আজ রবিবারে চাল ডালের সঙ্গে মুরগি দিলাম। যাতে মানুষ বাইরে না বেরিয়ে লকডাউনে পূর্ণ সহায়তা করে। তবে অবশ্য বাসিন্দারা হাতে গোটা মুরগি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন এই লকডাউনের দিনে।