বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেহ লোপাট, অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা

আমাদের ভারত, হুগলী, ৭ মার্চ: বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন, এরপর দেহ লোপাট করতে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ফাঁসির সাজা হল শ্রীরামপুর আদালতে। ঘটনা ২০০৮ সালের উত্তরপাড়া থানা এলাকার। এই এলাকাতেই বাস করতো নাটবল্টু ব্যবসায়ী শৈলেন্দ্র কুমার শর্মা। কারখানা চালাতে না পেরে লিজ দেন চন্ডীতলার তপন বাগ নামের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু সময় মত লিজের টাকা না পেয়ে তাগাদা করতে শুরু করেন শৈলেন্দ্র বাবু। মাঝে মধ্যে বাড়িতে ডেকে কিছু টাকা দেওয়া হত শৈলেন্দ্র বাবুকে। এই রকমই একদিন টাকা দেওয়ার অছিলায় চন্ডীতলায় নিজের বাড়িতে শৈলেন্দ্রকে ডেকে পাঠায় তপন। এরপর তাকে কুপিয়ে খুন করা হয় সেখানে। ঘটনায় তাকে সাহায্য করে তার বাবা মা নিরঞ্জন বাগ ও সন্ধ্যা বাগ।

২০০৮ সালের ১২ এপ্রিল শৈলেন্দ্র বাড়ি না ফেরায় খোঁজ খবর শুরু করেন তার স্ত্রী ইন্দু শর্মা। উত্তরপাড়া থানায় এবিষয়ে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ঘটনার কয়েকদিন পর চন্ডীতলায় তপন বাগের বাড়ির পাশে একজনের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা শৈলেন্দ্রর দেহ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় তপনকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধনেখালি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় শৈলেন্দ্রর মোটরবাইক ও জিনিসপত্র। ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। ঘটনার প্রায় বারো বছর পর শ্রীরামপুর আদালতে আজ অভিযুক্ত তপন বাগকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক মহানন্দ দাস। একই সাথে অপর দুই আসামী তপনের বাবা মা, নিরঞ্জন বাগ ও সন্ধ্যা বাগকে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেন বিচারক।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here