আমাদের ভারত, ৩০ ডিসেম্বর:করোনার নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে ভারতেও। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে এই নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তদের খোঁজ পাওয়ার পর উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে। তারমধ্যে সামনেই বর্ষবরণ। ফলে এই পরিস্থিতিতে নয়া স্ট্রেন যাতে বেশি ছড়াতে না পারে তার জন্য রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। প্রয়োজনের নাইট কারফিউর জারির পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে মানুষকে সংযতভাবে নববর্ষ পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফেও রাজ্যবসীকে একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রে তরফেই রাজ্যগুলিকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, গত তিন মাস ধরে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দেশে কমছে। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় তুলনামুলক ভাবে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকায় এখনো নির্দিষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ আমাদের দেশে রাখতে হবে। আপনারা সবাই জানে শীতকালে অনেক উৎসব হয়। সেইসঙ্গে সামনেই নববর্ষ রয়েছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ খুব বেশি যাতে ছড়াতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গায় কড়াকড়ি করতে হবে। দরকার পড়লে নাইট কারফিউর সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্যগুলি।
রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে শান্ত ও সংযতভাবে নববর্ষ পালনের পরামর্শ দিয়েছেন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বলেন, “রাজ্যবাসীকে শান্তভাবে উৎসব পালন করার আবেদন জানাচ্ছি। কোথাও জটলা করবেন না। করোনার নতুন স্ট্রেনের জন্য বিশেষ উদ্বেগ রয়েছে। ” সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি।
মুখ্য সচিব জানান হাইকোর্ট এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীও বৈঠক করেছেন। তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইকো পার্ক, পার্ক স্ট্রিট থেকে শুরু করে কলকাতা যেসব জায়গায় ভিড় হয় সেখানে যে পুলিশ বুথ গুলি সহায়তা কেন্দ্রের কাজ করবে। মাস্ক ছাড়া জনবহুল জায়গায় আসা যাবে না। সহায়তা কেন্দ্র গুলি থেকে পুলিশকে মাস্ক দেওয়ার কথা বলব। যতটা সম্ভব স্যানিটাইজার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা, তবে সেটা বহুল পরিমাণে হবে না।”
নাইট কারফিউ প্রসঙ্গে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্র অ্যাডভাইস করেছে রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে। স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে। আমাদের রাজ্যে এমন পরিস্থিতি হয়নি যে নাইট কারফিউ করতে হবে। এখানে কয়েকটা জায়গায় উদযাপন হয় তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।