জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১২ আগস্ট:
করোনা পরিস্থিতি ও দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে রুটি রুজি নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন রাজ্যের সংস্কৃতি কর্মীরা। বিভিন্ন পেশার শিল্পী ও নেপথ্য শিল্পীরা পেশা হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই রাজ্যের বিভিন্ন অংশের সংস্কৃতি কর্মীরা ইতিমধ্যেই তাদের দাবি সনদ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
এই আন্দোলনে গোটা রাজ্যের সাথে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, ভারতীয় গণসংস্কৃতি সংঘের সংস্কৃতি কর্মীরাও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির আহ্বানে মেদিনীপুরের পথে নেমেছেন। সংস্কৃতি কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাতা, স্বাস্থ্য বিমা, লোকশিল্পীদের মতো পরিচয় পত্র প্রদান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহ অবাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভাড়া দশ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা সহ আরও অন্যান্য বেশ কয়েক দফা দাবিতে সংস্কৃতি কর্মীরা বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারের কলেজ মোড়ে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে সমবেত হন। সেখান থেকে দাবিসনদ যুক্ত পোষ্টার ব্যানার সহযোগে মিছিল করে জেলা শাসকের দপ্তরে যান। সংস্কৃতি কর্মীদের প্রতিনিধি দল সেখানে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। পরে জেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদারের দপ্তরেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শ্রীমতি মজুমদার সংস্কৃতিকর্মীদের বক্তব্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজয় পাল, প্রণব চক্রবর্তী, বিপ্লব ভট্টাচার্য, জয়ন্ত চক্রবর্তী, পার্থ মুখোপাধ্যায়, সুনীল বেরা, অচিন্ত্য মারিক, বিশ্বেশ্বর সরকার, বিমল গুড়িয়া, প্রদীপ কুমার বসু, বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ বাগচি, সুতনুকা মিত্র মাইতি, নরোত্তম দে, রাজনারায়ণ দত্ত, বুবুন সরকার, সুদীপ মাইতি, ইন্দ্রানী দাশগুপ্ত, মোম চক্রবর্তী, প্রদীপ সাহা, স্বপন চক্রবর্তি সহ প্রায় দেড় শতাধিক সংস্কৃতি কর্মী।