সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ১৯ মে: সন্ধ্যে ছটা বাজতেই গ্রিন জোন পুরুলিয়ার রাস্তা ঘাট শুনশান। রাত্রিকালীন কারফিউ জারি হয়নি ঠিকই লকডাউন বলবৎ থাকায় এমন চিত্র এখন রোজকার হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
পশ্চিমবঙ্গে রাত্রিকালীন কারফিউ লাগু হয়নি। তবে লকডাউনে শিথিলতা এসেছে। দোকান পাট খোলার ক্ষেত্রে গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোনে বিস্তৃত হয়েছে। পুরুলিয়ার ক্ষেত্রে শিথিল হলেও অভিবাসী শ্রমিকদের গণহারে জেলায় আসতে থাকায় সচেতন ও সতর্ক হচ্ছেন মানুষ। নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে কোথাও গ্রামীণ হাট বন্ধ করে দিচ্ছেন স্থানীয়রা। অবাধ বিচরণ, মেলামেশা রুখতেই এই বাড়তি সতকর্তা।
সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত পুরুলিয়া শহর জমজমাট থাকছে। গাড়ি মোটরসাইকেল টোটো পথচারীদের ভিড়ে রাস্তা জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। দোকানগুলিতে ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে আগের মতো। দুপুরে ভিড় ফিকে এবং সন্ধ্যের আগে দোকান পাট সব বন্ধ থাকছে। রাস্তায় পথচারীদের দেখা যাচ্ছে না। কার্যত কারফিউ জারির মতো চেহারা নিচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে পুরুলিয়া জেলাবাসীর একটা বড় অংশ নিজেদের জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবেই ধরে রাখার সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।