দক্ষিণেশ্বরে হেলিপ্যাড হবে, কেএমডিএ ১০ কোটি টাকা দেবে গেস্ট হাউস নির্মাণে: মুখ্যমন্ত্রী

আমাদের ভারত, ১৬ জুন: ‘দক্ষিণেশ্বরে হেলিপ্যাড হবে, কেএমডিএ ১০ কোটি টাকা দেবে গেস্ট হাউস নির্মাণে, কারও কাছে চাইবে না, যা দরকার আমাকে দিয়ে করিয়ে নাও’ দক্ষিণেশ্বর মা ভবতারিণী মন্দিরে এসে ঘোষণা করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের শুভ উদ্বোধন করতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দিল্লি থেকে ফিরেই দক্ষিণেশ্বরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কাইওয়াকের বছর চারেক পর এবার লাইট অ্যান্ড সাউন্ড চালু হল দক্ষিণেশ্বরে। কেএমডিএ তৈরী করেছে এটি।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ও মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে সচিত্র বইয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘এই লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে ২৫-৩০ মিনিটে দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস জানা যাবে তার জন্য বই পড়তে হবে না’। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্দির ঘুরে দেখেন। তিনি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি না করার বার্তা দেন। মন্দির পরিদর্শন করে বলেন, “দাঙ্গা কোনো ধর্মের মানুষ করেন না। হিন্দু, মুসলিম, পাঞ্জাবী কেউ করেন না। দাঙ্গা করেন কিছু লোভী মানুষ, লোভী নেতারা করে। একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃন্ন মন্তব্য করবো কেন? যুদ্ধ করবো কেনো? খুনোখুনি করবো কেনো? যাদের মাথা ডাস্টবিনের মত নোংরা, যারা ওই নোংরা মাথা থেকে জঞ্জাল তৈরী করে আগুন লাগায়, গাড়ি পোড়ায়। যেখানে সেখানে বসে পড়ে।”

এদিন মুখ্য মন্ত্রী মন্দির পরিদর্শন করে বলেন, “এই মন্দির আন্তর্জাতিক মানের ও সুন্দর, ধার্মিক সামাজিক সব দিক থেকে সমৃদ্ধ। এখানে সব রয়েছে। এখানে ফেরি সার্ভিস রয়েছে, রেল ব্যবস্থা রয়েছে। আগামী দিনে হেলি প্যাডের ব্যবস্থা করে দেব। কারোর কাছে কোনো টাকা চাইবেন না আমি আছি আমাকে দিয়ে সব করিয়ে নেবেন। অনেক আন্তর্জাতিক অতিথি আসেন এই মন্দিরে তাই গেস্ট হাউস করা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে কেএমডিএ ১০ কোটি টাকা দেবে গেস্ট হাউস নির্মাণে।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’স্কাইওয়াক করার জন্য অনেকগুলি মিটিং করতে হয়েছিল। প্রথমে অনেকে রাজিই হচ্ছিলেন না। কারণ, আমার হকার ভাইদের দোকান ছিল। কোর্ট কেসও হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু অতিক্রম করে আমরা কাজটা করতে পেরেছি’। মুখ্যমন্ত্রী
জানান, ‘কালীঘাটে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে স্কাইওয়াক তৈরি করছি। বাংলাই একমাত্র রাজ্য যেখানে ২ টো হেরিটেজ শহর। কোচবিহার আর নবদ্বীপ। গঙ্গসাগর ও তারাপীঠেও উন্নয়ন হয়েছে। বাংলা কারও ভিক্ষা চায় না’।

এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রযুক্তির উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের জন্য ধন্যবাদ জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র, পৌরপ্রধান গোপাল সহ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *