
অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ৩ অক্টোবর: দলমার হাতি গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায়, ভাঙ্গচুর করে, ফসলের ক্ষতি করে সবাই জানে। কিন্তু ১৩টা হাতির বিশাল দল বাজার, মন্দির সহ গোটা এলাকা ঘুরে বেড়াল কারো কোনো ক্ষতি না করেই। একের পর এক মন্দিরেও গেল তাওর। তবে কোনও মন্দিরে যারা বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। মানুষের তাড়ায় তাদের সেখানে সেখান থেকে পালাতে হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে যেন গোটা দলটি বেরিয়েছিল আজ একটু ধর্ম কর্ম করতে। এই ঘটনায় অবাক এলাকার মানুষ। ১৩টা হাতির বিশাল দল দেখে ভয় পেলেও, তারা কারো কোনো ক্ষতি না করেই শেষপর্যন্ত ফিরে যায়।
আজ সকালে জামবনি ব্লকের গিধনী বাজারে ঢুকে পড়ে ১৩টা হাতি। কিন্তু বাজারে বেশিক্ষণ তারা থাকেনি। মনে হয় তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্য। বলা ভালো গোটা দলটাই যেনো একটু ধর্ম লাভের আসায় এসে ছিলো আজ। সকালে কানাই সোল বিট অফিস হয়ে সেখানে রেলের মাঠে পুর্বাস দুর্গা মন্ডপ ঘুরে দেখে। সেই সময় পুজার আয়োজন চলছিল। তাদের হাবভাবে উপস্থিত ভক্তদের মনে হয় পুজোর আয়োজন ঠিকঠাক চলছে কি না তা দেখে গেল। এরপর হাতির দলটি কালি মন্দিরে যায়। সেখানে মানুজন তাড়া করলে ফের রেলের দুর্গা মন্ডপে পৌছে যায় দলটি। এরপর গিধনী বাজার ঘুরে, বিডিও অফিস হয়ে চলে আসে ঠাকুর অনুকুলচন্দ্রে আশ্রমে। সেখান থেকে হুলাপার্টি ও গ্রামবাসীরা তাড়ালে পাশেই খড়জোড়া গ্রামে প্রবেশ করে।
হুলা পার্টি চেষ্টা করছে দলটিকে পাশের জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়ার। এতবড়ো একটা দল আগে কখনো এলাকায় ঢোকেনি এলাকা। ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে সকল থেকে হাতির দলটি চারিদিকে ঘুরে বেড়ালেও আজ কারো কোনও ক্ষতি করেনি, এমনকি একটি গাছের ডালও ভাঙ্গেনি গোটা দলটা। তারা গোটা এলাকাটা ঘুরে চলে যায়। এলাকার লোকজনের বক্তব্য মনে হয় ওরা ঘুরতে বেড়িয়েছিল।