মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ নেই সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে: চাঞ্চল্যকর দাবি এইমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের

আমাদের ভারত, ২২ আগস্ট: রহস্যে মোড়া সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো এবার। জানা গেছে সুসান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করার নেই, যা কিনা বাধ্যতামূলক। এমনটাই দাবি করেছেন এইমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।

ময়নাতদন্তের সময় কুপার হাসপাতালে গিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। সেইসব বিতর্কের মাঝেই জানা গেল সুশান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা নেই। এইমসের ৪ জন চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি করা ফরেন্সিক কমিটি সুশান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নতুন করে খতিয়ে দেখবেন। ডঃ সুধীর গুপ্তার নেতৃত্বে এই দল রিপোর্ট ভালভাবে যাচাই করবে।

ডক্টর সুধীর গুপ্তা দিল্লির ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান। এর আগেও সিবিআইয়ের সঙ্গে বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের হাইপ্রোফাইল মামলায় কাজ করেছেন ডক্টর সুধীর গুপ্তা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বহু এজেন্সির সঙ্গেও তিনি বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন। সুনন্দা পুশকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,শীনা বরা হত্যা মামলা, জেসিকা লাল হত্যা মামলায় সিবিআই তার সাহায্য নিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডক্টর সুধীর গুপ্তা জানিয়েছেন কুপারের হাসপাতালে তৈরি করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোথাও সুশান্তের মৃত্যুর সময় উল্লেখ করে স্ট্যাম্প দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে মুম্বই পুলিশের উচিত ছিল চিকিৎসকদের সঙ্গে দ্বিতীয় বার পরামর্শ করা। কিন্তু তারা সেটা করেনি। যেকোনো ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় জানানোটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

সুশান্তের ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ ফাইল তার কাছে এসে পৌঁছাবে ২৩ আগস্ট। পুরোটা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে তিন থেকে চারদিন। আগামী ২৭ আগস্ট আরোও তিনজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তিনি মুম্বাই পাড়ি দেবেন।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন। সামনে এসেছে বেশকিছু অসামঞ্জস্যকর বিষয়। সুশান্তের বাবা কে কে সিংয়ের দায়ের করা এফ আই আরের সূত্র ধরে মুম্বইতে তদন্তে আসে বিহার পুলিশের একটি দল। আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসার পর সুশান্তের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে। বিহার পুলিশের তদন্তকারীরা সেই হাসপাতলে গিয়েছিলে সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে। কিন্তু তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সেই রিপোর্ট বিহার পুলিশের হাতে গেলেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রিপোর্টে নেই বলেও দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *