
আমাদের ভারত,২৪ ফেব্রুয়ারি: সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী দিল্লি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ গেল পুলিশের এক হেড কনস্টেবলের। গুরুতর আহত এক ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
শনিবার রাতে শাহিনবাগের মতই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জাফরাবাদের রাস্তায়। হঠাৎ কয়েকশো মহিলা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। তারপর বসে পড়েন রাস্তায়। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন।
অভিযোগ ওঠে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশ লাঠিচার্জ করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এরমধ্যে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের হঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির কপিল মিশ্র। অভিযোগ তারপর থেকে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জাফরাবাদ। সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল গোকুলপুরি, ভজনপুরা এলাকায়। সেখানে সিএএর সমর্থনে একদল মানুষ হাজির হয়। মিছিলে ছিল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সেই মিছিল সিএএ বিরোধী মিছিলের সামনে এসে হাজির হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাস্তার উপর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করতে থাকে। বেশ কিছু গাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ওপরেও এসে পড়তে থাকে ইঁট। আর তাতেই মাথায় গুরুতর চোট পান রতনাল নামে এক হেড কনস্টেবল। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ইটের আঘাতে আরো বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই জাফরাবাদ মৌজপুর, বাবরপুর জহরি এনক্লেভ ও শিববিহারে মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেখানে কোনও ট্রেন দাঁড়াবেন না বলে জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।