
আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৭ মার্চ: গরম গরম পকোড়া ভাজা হচ্ছে মুরারই ১ নম্বর ব্লকের গোঁরসা পঞ্চায়েতে। সেই পকোড়া তৈরি করছেন ভাড়া করা ঠাকুর। আর তাঁকে সাহায্য করছেন স্থানীয় সেলফ হেল্প গ্রুপের কর্মীরা। তাঁরাই সরবরাহ করছেন। আর তা চেটেপুটে খাচ্ছেন উপস্থিত পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের সদস্য ও এলাকার শিক্ষিত সমাজ। এদিনের এই সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্লকের বিডিও সন্দীপন প্রামানিক, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল টিম, বিএমওএইচ এবং পঞ্চায়েত কর্মীরা।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ কেজি চিকেন নিয়ে এই গরম গরম পকোড়া বানানো হয়। এর উদ্দেশ্য একটাই, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অনেক বেকার যুবক লোন নিয়ে পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারের জেরে চিকেনের ব্যবসায় মন্দা এসেছে। বেকার যুবকদের মাথায় হাত পড়েছে। সেই দিকটা ভেবেই গোঁরসা পঞ্চায়েত এই অভিনব পথ বেছে নিয়েছে। এই পকোড়া খেতে হাজির হয়েছেন গ্রামের অনেক মানুষ। আজ তারা নিশ্চিন্তে বাড়ি গেছেন।
পঞ্চায়েত প্রধান সুবীর কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে ফেসবুক ফেকবুকে পরিণত হয়েছে। সেখানে করোনা ভাইরাস নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। মানুষকে বলা হচ্ছে, মুরগির মাংস থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায়। যেটা আদৌ সত্য নয়। প্রশাসনের উচিত যারা এই মিথ্যা প্রচার চালায় তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এই সচেতনতার প্রচার ছাড়াও এদিন পঞ্চায়েতের কাশিমনগর গ্রামের মেধাবী ও দুঃস্থ ছাত্র সাদেকুল সেখকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সে। স্মারক বক্তৃতায় বাংলার হয়ে রানার্স হয় সে। তার বাড়ির অবস্থা এত খারাপ যে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত একটি স্মারক রাখার জায়গা নেই। সেটি রাখা আছে স্থানীয় মহামায়া বিদ্যালয়ে। সেই মেধাবী ছাত্রের হাতে পঞ্চায়েত থেকে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে আরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি পিএমওয়াই স্কিমে তার ঘরের জন্য চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান।