সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, ২২ জুলাই: তৃণমূল যুব নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বনগাঁ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ। পরে বাটার মোড় চত্বরে অবরোধ করল তৃণমূলের একাংশের নেতা কর্মীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই বিক্ষোভ অবরোধ চলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, পুরসভার বাসিন্দা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী অমিত চক্রবর্তীকে বুধবার রাতে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই যুবনেতা প্রশান্ত হালদারের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর রাতেই প্রশান্তকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূলেরই একাংশের নেতা কর্মীরা। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ বনগাঁ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। তারপর বাটার মোড়ে যশোর রোড অবরোধ শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ চলে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা অপরাধে প্রশান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
অভিযোগকারী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা অমিত চক্রবর্তী বলেন, দলের লোক এসে বাড়িতে হামলা চালাল এটা ভাবতেই মনে হচ্ছে, এরা আর যাই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী নয়৷ পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, শুনেছি এক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ প্রশান্তকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রশান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এদিনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।