সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ অক্টোবর: লকডাউনে বন্ধ করা সমস্ত ট্রেন চালু, স্পেশাল ট্রেনের তকমা দিয়ে চালু ট্রেনগুলির উপর লাগু করা রিজার্ভেশন চার্জ প্রত্যাহার এবং আদ্রা-খড়্গপুর সেকশনে চালু ১৬টি ট্রেন প্রত্যাহার করে নেওয়ার নোটিফিকেশন বাতিলের দাবিতে আজ বাঁকুড়া স্টেশনে সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, টিউসিসি, ইউটিইউসি, ১২ই জুলাই কমিটি, পঃবঃ বস্তি ফেডারেশন, বাঁকুড়া জেলা লরি ড্রাইভার্স এন্ড ক্লিনার্স ইউনিয়ন ও বিডিআর রেলপথ পরিবহণ কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়ে জেনারেল ম্যানেজার, সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের উদ্দেশ্যে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সিআইটিইউ নেতা প্রতীপ মুখার্জির নেতৃত্বে এই ডেপুটেশনে অংশগ্ৰহণ করেন কল্যাণ সিংহ(এআইটিইউসি), সুনীল পাত্র(ইউটিইউসি), শ্যামাপদ ডাঙর(টিইউসিসি), গোপাল দাস(১২ই জুলাই কমিটি), অধ্যাপক চন্ডীদাস মুখার্জি(বিডিআর রেলপথ পরিবহণ কল্যাণ সমিতি), অনাদি বাগদি(পঃবঃ বস্তি ফেডারেশন) ও সত্য মুখার্জি (লরি ড্রাইভার্স ও ক্লিনার্স ইউনিয়ন) প্রমুখ।
বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ’র রাজ্য সহ-সভাপতি কিংকর পোশাক ও বাঁকুড়া জেলার সহ-সভাপতি প্রতীপ মুখার্জি। বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, যে রেল দপ্তর মাল পরিবহণ বাড়িয়ে তাদের কোটি কোটি আয় বাড়িয়ে চলছে আর ক্ষতির বাহানা দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখবে বা চালু ট্রেনগুলি প্রত্যাহার করে নেবে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সময়ে একদিকে বাঁকুড়া-মশাগ্রাম সেকশন-সহ অধিকাংশ ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে এবং কয়েকটি চালু ট্রেনকে স্পেশাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের তকমা লাগিয়ে তার উপর রিজার্ভেশন চার্জ লাগু করে যাত্রীদের পকেট কাটার যে ব্যাবস্থা করা হয়েছে তাও কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই দাবি পূরণ না হলে জনস্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এই সমস্যা সমাধানে টিএমসি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার এবং বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদ লদের নির্লিপ্ত ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন তারা।