
আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৮ ফেব্রুয়ারি: আগামী ২১ সালের বিধানসভার নির্বাচন হিংসাত্মক হওয়ার আশঙ্কা করছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী। বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকে ডেবরা গ্ৰামীন উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এই কথা বলে দীপক অধিকারী। বাংলার ভোটে ধর্মের নামে বিভাজন হবে না তো? ভয় লাগছে! বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি অনুরোধ জানান, যারা উত্তেজনামূলক মন্তব্য করছেন তাদের বক্তব্য প্রচার করবেন না। একজনের পালটা অন্যজন আরও উত্তেজক মন্তব্য করছেন। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। সমাজে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে এবং হিংসা বাড়ছে।এরজন্য এক শ্রেণির রাজনীতিকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকে দায়ী করেন সাংসদ দীপক অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে তিনি ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন হিংসাত্মক হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোনো দলের কোনো নেতা উস্কানি মূলক, বিভেদ মূলক মন্তব্য করলে সেই নেতাকে বরখাস্ত করা উচিত। ঘাটালের অভিনেতা সাংসদকে খেদের সুরে বলতে শোনা যায়,
“দূর্ভাগ্য! এমন নেতাও আছেন তিনি হাতে মাইক নিয়ে দশ বা একশ জন লোকের সামনে যা খুশি তাই বলে গেলেন আর এর থেকে পুরো পরিস্থিতি বদলে গেল। এর দায় সেই দলকে এবং সেই নেতাকে নিতে হবে। সমাজ থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ”
দিল্লিতে শুরু হওয়া হিংসার আঁচ ২০২১ এ বাংলার ভোটেও লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “রাজনীতিকে ধর্ম দিয়ে ভাগ করা একেবারেই উচিত নয়। ২১ এর ভোটে এখানে ধৰ্মযুদ্ধ না বেধে যায়”!
বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন, “ভোট মানেই ধর্ম নিয়ে খেলবেন না। মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা বন্ধ করুন। মানুষকে ধর্মযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। ”
দিল্লির ঘটনায় গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে দেব বলেন, “আমি ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি, দেশের হৃদপিণ্ড যদি ক্ষতবিক্ষত হয় তবে বাকি অংশের অবস্থা কি হবে ? “