আমাদের ভারত, ২১ মে: আম আদমিকে স্বস্তি দিতে পেট্রোল-ডিজেলের শুল্কে বিরাট ছাড় ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এর ফলে পেট্রোলের লিটার প্রতি দাম কমবে ৯ টাকা ৫০ পয়সা, ডিজেলের দাম কমবে লিটার প্রতি ৭ টাকা। রবিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আর কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, “দিদি এবার আপনার পালা বাংলার সাধারন মানুষকে রেহাই দিন।”
পেট্রোল ডিজেলের শুল্ক কমানো তথা উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি লিখেছেন, “গত বছরের নভেম্বর মাসের পর আবারও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমালো কেন্দ্রীয় সরকার। একই সাথে সব রাজ্যগুলিকেও অনুরোধ করা হয়েছে সাধ্যমত দাম কমানোর জন্য, যাতে আমজনতা রেহাই পায়।” এরপরই তিনি অভিযোগ করেছেন, বাকি রাজ্যগুলিতে দাম কমালেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার গতবার দাম কমায়নি।”
তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের কর ছাড়ের পর এবার অন্তত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির জন্য রাজ্যের করের ভাগ থেকে কিছুটা কর ছাড় দেওয়া। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটা কমবে।”
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় ধারাবাহিক টুইট করে নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, আন্তঃ শুল্ক কমানোর ফলে কেন্দ্র সরকারের এক লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে। অর্থমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারগুলিও যেনো একই রকমভাবে কর কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর কথায়, “আমি সব রাজ্যকে অনুরোধ করছি বিশেষ করে যে রাজ্যগুলি আগেরবার অর্থাৎ গত নভেম্বর মাসে যারা কর কমাননি তাদের বলছি, আপনারা এই রকম ছাড় দিন। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।”
গত বছর নভেম্বর মাসের শেষে একইভাবে এক ধাক্কায় অনেকটা শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সময় ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেইপথে হাঁটেনি। বরং তৃণমূল বারবার জ্বালানির দাম বৃদ্ধির জন্য বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। উল্টো দিকে বঙ্গ বিজেপিও দেখা গেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেন ভ্যাট কমাচ্ছে না তা নিয়ে সরব হতে।
এবার, ছেঁকা লাগার মতো জ্বালানির বৃদ্ধি মোকাবিলায় কেন্দ্র কর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দ্বিতীয়বার। ফলে রাজ্যের তরফে পেট্রল ডিজেলে কর ছাড়ের ইস্যু যে বঙ্গ বিজেপির কাছে এবার বড়সড় হাতিয়ার হল তা রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।