তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোই এখন পুলিশের কাজ, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর: বসিরহাটের ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আবারো একবার সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই বসিরহাটে পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

দিলীপবাবু বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম পুলিশের এখন বড় কাজ হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটানো, টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোটে জেতানো। এখন তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সেটা পুলিশকে দিয়ে মেটাতে হচ্ছে এবং পুলিশকে গুলি খেতে হচ্ছে। সমস্ত সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের পার্টিতে রয়েছে তাই গন্ডগোল থেকে শুরু করে মারপিট হবেই।পুলিশের ক্ষমতা নেই সমাজ বিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়ার। পুলিশ পার্টি টাকে চালিয়ে ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। জানিনা আর কতজনকে শহিদ হতে হবে।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে সহ ৪১ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার ছেলে গুলি চালিয়েছে। ঘটনার পর উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, দু রাউন্ড গুলি। এগুলি সবই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বসিরহাট থানার শাকচুড়া বাজার এলাকায়।

অন্যদিকে, গঙ্গার ঘাটের বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ধমক দিয়েছিলেন। তারপরেই গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম গঙ্গার পাড় সংস্কারে পোর্টের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কাজ হচ্ছে না এটা সবাই জানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দেখছেন লোক ক্ষেপে যাচ্ছে তখন উনি ফিরহাদ হাকিমকে ধমকাচ্ছেন। আর ফিরহাদ হাকিম গিয়ে পুলিশকে ধমকাচ্ছেন। তা না হলে পোর্টের নামে দোষ দিচ্ছেন। পাঁচ বছর আগে বলেছিলেন ৯০% কাজ হয়ে গিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে কিছুই হয়নি।”

দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, “এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলছে জঙ্গলমহলের মহিলারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে বলছেন আমরা কিছুই পাইনি যেটা আমরা বলতাম সেটা আজ মানুষ বলতে শুরু করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *