
আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৫ নভেম্বর: সৌজন্যতা বজায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বিঘ্নে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করলেও সোমবারের উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা ছিল খড়গপুর শহরে। এ পর্যন্ত রাজ্যে যতগুলি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছে তার কোনোটাতেই তেমন তাপ উত্তাপ দেখা যায়নি। কিন্তু এবার রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনেই উত্তাপের আঁচ পাওয়া গেছে।
দুহাজার কুড়ি সালের পৌরসভা নির্বাচন এবং একুশ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে এই বিধানসভা তিনটির উপনির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলির মরণ কামড় হয়ে উঠেছে। লোকসভা নির্বাচনে আঠারোটি আসনের দখল নিয়ে শাসকদলের ভিত এক প্রকার নড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রায় চল্লিশ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু জেলার দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে খড়্গপুরে এবার মাথা তুলে দাঁড় করানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের প্রার্থী প্রদীপ সরকার এবং বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁয়ের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দীতা হলেও খড়্গপুরের মূল লড়াইটা আসলে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
সাংসদ হওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ ঘোষের কাছে গড় রক্ষা করার এ যেমন এক মর্যাদার প্রশ্ন তেমনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষক তথা দুই মেদিনীপুর জেলার দাপুটে নেতা হিসাবে খড়গপুর শহরের বরাবর তৃতীয় স্থানে থাকা তৃণমূলকে টেনে তুলে প্রথমবার দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। মাঝখানে খড়গপুর শহরের মাস্টারমশাই চিত্তরঞ্জন মন্ডল লড়ছেন বাম -কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে। প্রায় নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর চিত্তরঞ্জন বাবুর ভোট কাটাকাটির ব্যূহে তৃণমূল না বিজেপি কে কত ব্যবধানে বেরিয়ে আসতে পারবে, সোমবার খড়্গপুরে তারই পরীক্ষা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।