আমাদের ভারতের, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৯ এপ্রিল: দ্বিতীয় দফার লকডাউনের আজকে পঞ্চম দিন। ২০ তারিখ থেকে কিছু জায়গায় কিছু ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হবে। সেই তালিকায় কিন্তু চায়ের দোকান বা পানের দোকান নেই। কিন্তু আজ তমলুকের বিভিন্ন বাজার এলাকায় দেখা গেল বেশ কিছু চা ও পানের দোকান এবং দুই একটি অন্য পণ্য সামগ্রীর দোকানও খুলতে।
তমলুকের হরিরবাজারে একটা দুটো চায়ের দোকান তো রীতিমতো পুরো খুলেই চা বিক্রি করছেন। কেউ কেউ আবার অর্ধেক সাটার টেনে ব্যবসা করছেন। অনেকে আবার ক্যামেরা দেখে দোকানের সাটার বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে ক্রেতা তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেই চা খাচ্ছেন আবার কেউ পান খাচ্ছেন। সবমিলিয়ে বাজারে এলাকাগুলি সকালবেলা জমজমাট থাকছে। কোনও কোনও দোকানদার সামাজিক দূরত্ব মেনে জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই বিধিনিষেধের কোনও বালাই নেই। রোববারের বাজার হওয়ায় মাছ, মাংসের দেকান সহ সব জায়গাতেই ভিড় একটু বেশি। করোনার সংক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকেই যায় তবুও কিন্তু এই বাজারগুলিতে পুলিশ প্রশাসন বা পৌর কর্তৃপক্ষের কাউকেই কয়টা দেখা যায়নি সকালের দিকে।
বেলার দিকে অবশ্য তমলুক থানার পুলিশ টহলে বেরিয়ে চা ও পানের দোকানগুলোকে বন্ধ করে দেয়। মানুষজনকে মাস্ক পরার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন। অন্য দিনগুলোর তুলনায় কিন্তু আজ ক্রেতা বিক্রেতা অধিকাংশ মানুষজনকে মাস্ক পরে বেরোতে দেখা গেছে বাজারগুলোতে।