নীল বনিক, আমাদের ভারত, ককলকাতা, ১৭ জুলাই: রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে মতভেদ বিজেপিতে। দলীয় বিধায়ক খুনের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এতদিন ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে রাজ্যের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সরাসরি এই দাবিতে রাষ্ট্রপতি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দাবিপত্র দেবনি তারা। কিন্তু এবার ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবিপত্র জমা করেছেন বিজেপি নেতারা। তাতেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে দু’একদিন আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যের প্রাক্তন আমলাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তারাও কেন্দ্রীয় নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করার সুপারিশ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রাক্তন ও বর্তমান কয়েকজন আইপিএস বুঝিয়েছেন ৩৫৬ ধারা জারি হলেই অসুবিধেয় পড়বে রাজ্যের শাসক দল। তাতে কয়েকদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল হয়তো আক্রমনের সুর চড়াবেন। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরা খোলা মনে তার পাল্টা প্রচারের সুযোগ পাবেন। পুলিশের ভয় না থাকলেই তৃণমূলের পাল্টা প্রচারে বাধা থাকবে না বিজেপি কর্মীদের। বরং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নামতে পারবেন বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন এরাজ্যে কাজ করা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা। যারা এখনও সুনামের সঙ্গে দিল্লিতে কাজ করছেন।
অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামতে দেওয়াটা ঠিক হবে না। রাজ্য রাজনীতিতে কোনঠাসা তৃণমূলকে বলার সুযোগ দিতে চাইছেন না এরাজ্যের বিজেপির নেতারা। তারা চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখতে সবরকম কৌশল অবলম্বন করুক দিল্লি। যদিও বঙ্গ বিজেপির দাবি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে মানবেন তা হলপ করে বলা যায় না। আগামী দিনে এরাজ্যে বিজেপির রণকৌশল ঠিক করবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে গোটা বঙ্গ বিজেপির নেতারা।