অবসর প্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষকের উদ্যোগে দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী, খাদ্যসামগ্রী, শীতবস্ত্র বিতরণ

আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৫ জানুয়ারি: সমাজসেবার কাজে এগিয়ে এলেন অবসর প্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক তারানন্দ চক্রবর্তী। অশীতিপর বৃদ্ধ তারানন্দ চক্রবর্তী বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার হাড়মাসরা গ্রামের বাসিন্দা। বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার জাম্বনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

রবিবার জাম্বনী বিদ্যালয়ের ৫৫ জন দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা, জামিতি বক্স, ছাতু, দুধ, বিস্কুট, সোয়াবিন, কোলগেট, সাবান, মাস্ক প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তুলে দেন। এছাড়া, কুড়ি জন দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত আচ্ছাদন হীন তিনটি পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হল তারানন্দ চক্রবর্তীর পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট পণ্ডিত তারানন্দবাবু তাঁর পাণ্ডিত্যের পুরস্কারস্বরূপ রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার সম্মানিত হয়েছেন. ২০০১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পেয়েছেন জাতীয় শিক্ষকের সম্মান। ২০১৯ সালে কলকাতা সংস্কৃত কলেজ ও ইউনিভার্সিটি থেকেও পেয়েছেন বিশেষ সাম্মাননা। এই বয়সেও তাঁর লেখনী কিন্তু থেমে নেই। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে তিনি অসংখ্য লেখা লিখেছেন। ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত শ্রী অট্টুর বালভট্ট কর্তৃক বিরচিত “শ্রীরামকৃষ্ণ কর্নামৃতম” গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করে তারানন্দবাবু লেখক সমাজের কাছে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছেন।

এদিন জাম্বনী উদয় তীর্থ ক্লাবের পক্ষ থেকে তারানন্দ চক্রবর্তীকে পুষ্পস্তবক, শাল ও একটি মানপত্রের মাধ্যমে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এদিন তারানন্দবাবুর অনুপস্থিতিতে, তাঁর পক্ষে এই সম্মাননা গ্রহন করেন তাঁর পুত্র, শিক্ষক নরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here