
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৮ জানুয়ারি: আচার খেতে গিয়ে গলায় কুলের বীজ আটকে মরণাপন্ন অবস্থা হয়েছিল পুরুলিয়ার কিশোরীর। কিন্তু চিকিৎসকদের হাতের জাদুতে নতুন জীবন ফিরে পেল সে। শুক্রবার ভোররাতে তাকে আনা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ৪৫ মিনিট ধরে অস্ত্রোপচার করে তার গলা থেকে ২ ইঞ্চি লম্বা কুলের বীজটি বের করেন ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম পিঙ্কি হাঁসদা (১২)। গত ১১ জানুয়ারি বেশ আয়েশ করে কুলের আচার খেতে গিয়েই বিপদ বাধায় সে। কুলের বীজটি সোজা শ্বাসনালীতে ঢুকে একেবারে বাঁদিকে ফুসফুসের কাছে গেঁথে যায়।
একেবারে প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই ওই কিশোরী অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। মাঝরাতে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানে চেষ্টা করেও কুলের বীজটি বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। কেউ প্রচুর জল, আবার কেউ হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তারপরও ওই তরুণী কষ্ট উপশম না হওয়ায় তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন স্থানীয় লোকজন। সেইমতো শুক্রবার ভোর রাতে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কিশোরীকে।
শনিবার সকালে হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ দীপ্তাংশু মুখার্জির নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ঘন্টাখানেক অপারেশনের পর সযত্নে বার করা হয় ওই কুলের বীজটিকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কুলের বীজটি আটকে যাওয়ায় কিশোরীর ফুসফুস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। টানা ৭ দিন সে প্রবল ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তাই এখন বিপদ কেটে গেলেও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আরও তিনদিন দিন লাগবে ওই কিশোরীর।