একটাও গুলি চলেনি! দোভালের নিঁখুত পরিকল্পনায় পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে মেগা তল্লাশি অভিযান দেশজুড়ে

আমাদের ভারত, ২৩ সেপ্টেম্বর: চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর ভারতের নৌবাহিনীর কাছে আইএনএস বিক্রান্ত হস্তান্তর করতে কেরালার কোচিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অজিত দোভালও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী দোভালের শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তার দিকেই নজর ছিল না, সেই সময় দোভালের টিমের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ ছিল সে কাজটি হল কেরালা থেকে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া পিএফ আইয়ের নেটওয়ার্ক উপড়ে ফেলা।

এর জন্য দোভাল প্রথমে কেরল পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এখানে অজিত দোভাল পুলিশকে পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান। এরপর কেরল থেকে দোভাল মুম্বই যান। সেখানে গভর্নর হাউসের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মত পুরো বিষয়টি গোপন রাখা হয়। এর জন্য তিন চার মাস আগে বিশিষ্ট ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় তার।

এরপর বাইশে নভেম্বর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ এনআইএর প্রায় ২০০ আধিকারিক পিএফআই এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকানাগুলিতে অভিযান চালায়। সন্ত্রাসে অর্থ দানকারী শতাধিক পিএফআই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। অত্যন্ত গোপনে পরিকল্পিত এই অভিযানে ১৫ টি রাজ্যের প্রায় ১৫০টি স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়। পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চালায়। পিএফআই এর জাতীয় সভাপতি এমএ সালামকে কেরালা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় দিল্লির পিএফআই প্রধান পারভেজ আহমেদকেও। অভিযানে ৪ জন আইজি, একজন এডিজি এবং ১৬ জন এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন। পুরো অভিযানে ১৫০টি মোবাইল, ৫০টি ল্যাপটপও তালাশি করা হয়। গ্রেপ্তার করা পিএফআই নেতা কর্মীদেরও। দিল্লিতে হাজির করা হয় পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। তাদের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে পাঠিয়েছে।

তথ্য অনুসারে পুরো অপারেশনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভালের তত্ত্বাবধানে করা হয়েছিল। এই পুরো পরিকল্পনা করেন দুজনে। পুরো পরিকল্পনাটি গোপন রাখা হয়েছিল অমিত শাহের নির্দেশেই। এর পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যের এনআইএ অফিসারদের জন্য বিমান প্রস্তুত রাখা হয়, যাতে বিমানে করে পিএফআই এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়। পুরো অভিযানের পরিকল্পনা ছিল অজিত দোভালের, আর সেই প্ল্যানিয়ে এক যোগে এতগুলি ঠিকানাতে একসঙ্গে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এত বড় অভিযানে একটি গুলিও চালাতে হয়নি। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু এই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে বলে অনুমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *