
আমাদের ভারত, ২৮ মার্চ: রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করতে নয়া কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ অচিন্ত্য বিশ্বাস।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এই নীতিতে স্নাতক পাঠক্রম চার বছরে করার যে নির্দেশিকা রয়েছে, সেটা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। এ নিয়ে আগে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদককে অচিন্ত্যবাবু বলেন, “নতুন নিয়মে চার বছরের স্নাতক শিক্ষা না মানলে ক্ষতি রাজ্যের সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের। বেসরকারি সংস্থা ( কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়) চলবে নতুন নীতিতে। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কূপমণ্ডুক হয়ে থাকবে। জাতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত আলাপ আলোচনার বহু সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম, অ-বিজেপি বাম ডান দলগুলি এর প্রতিরোধ করেছে।
শাসকদল অপরিণামদর্শী, চৌর্যবৃত্তি ছাড়া কিছুতেই মন নেই, উপরন্তু ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে পারে না। বামপন্থীরা সরকারি শিক্ষা, শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ চান — তবু তারা জাতীয় শিক্ষা নীতি চান না! এখন ইউ জি সি আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যদি টাকা না দেয়, কী হবে? ধনীর দুলালদের অসুবিধা হবে না। মুশকিল হবে গ্রামীণ দরিদ্র প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের।
চার বছরের শিক্ষা নীতির বড় শক্তি ‘ক্রেডিট সিস্টেম’ আর গবেষণার সুযোগ। জীবনমুখী শিক্ষার এই সম্ভাবনা নষ্ট করে আমরা পরের প্রজন্মকে পঙ্গু করে ফেলছি।“
প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা ও জাতীয় শিক্ষানীতি (২০২০) কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখতে উপাচার্যদের নিয়ে গঠিত রাজ্যের নয়া কমিটির নেতৃত্ব দেবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কমিটিতে রয়েছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে উপাচার্যদের কমিটি।