জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৫ অক্টোবর: আজ খড়্গপুর ডিআরএম দপ্তরে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ। কর্পোরেটদের স্বার্থে করোনা অতিমারির সুযোগ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সহস্রাধিক রেল নিত্য যাত্রী, হকার সহ সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভে সামিল হন। খড়্গপুর বাস স্ট্যাণ্ড থেকে মিছিল খোলাবাজার হয়ে খড়্গপুর শহর পরিক্রমা করে ডিআরএম দপ্তরে পৌঁছালে বিশাল পুলিশ বাহিনী মিছিল আটকায়। এর ফলে নাগরিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ডিআরএম দপ্তর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। চলে বিক্ষোভ সভা। সেখান থেকে সুরঞ্জন মহাপাত্র(পঃ মেদিনীপুর), মধুসূদন বেরা(পূঃ মেদিনীপুর), মিনতি সরকার(হাওড়া), গোপাল মাইতির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ডিআরএমের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।
ডিআরএমের পক্ষে ডেপুটেশন গ্রহণ করেন, সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার জগরাজসিং চৌহান। তিনি আশ্বাস দেন আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে মেদিনীপুর- হাওড়া একজোড়া লোকাল ট্রেন চালু করবেন। সেইসঙ্গেলদা- হাওড়া লোকাল, দিঘা- হাওড় লোকাল ট্রেন চালু করবেন এবং স্টাফ স্পেশালে এবং স্পেশাল প্যাসেঞ্জারে পরীক্ষার্থী সহ বাধ্য হয়ে যাতায়াতকারীদের উপর আরপিএফ ও টিকিট কালেক্টরদের জুলুম, হয়রানি, জরিমানা বন্ধ করবেন। রেলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় স্টেশন গুলিতে টিকিট ইস্যু করা হবে। সেই সঙ্গে দুই সিনিয়র অফিসার কথা দেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আগের মত ট্রেন চলাচল করবে। নেতৃবৃন্দ হুঁসিয়ারি দেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না করা হলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠবে।