আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৫ জানুয়ারি: করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন টানা লকডাউনে জনজীবনের সমস্ত কিছু বন্ধের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ ছিল। এই করোনা পরিস্থিতিতে উভয় সরকার জনজীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে করনীয় দিকগুলিকে উপেক্ষা করে একটার পর একটা জনবিরোধী নীতি প্রনয়ণ করেছে। শিক্ষাও এর থেকে বাদ পড়েনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যখন উর্ধ্বসীমা অতিক্রম করেছিল, তখন মানুষের জীবন মরণের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে লকডাউন তুলে জনজীবনকে স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলেছে।
আজ জনজীবন স্বাভাবিক।লোকাল ট্রেন-বাস, হাট, বাজার, সমস্ত প্রাইভেট সেক্টর, অফিস, আদালত, মন্দির, মসজিদ, চার্চ, গির্জা এককথায় সমস্ত কিছু খোলা। এমনকি নেতা মন্ত্রীরা জমায়েত করে সভা, মিটিং মিছিল করছেন ভোটের স্বার্থে। অথচ এই নেতা মন্ত্রীরাই নিদান দিচ্ছেন এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসরুম ভিত্তিক পঠন পাঠন শুরু হলে করোনার আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে পঠন পাঠন বন্ধ থাকবে। এর থেকে পরিষ্কার কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারের শিক্ষাসংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি। অবিলম্বে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসরুম ভিত্তিক পঠন পাঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবিতে আজ ছাত্র সংগঠন ডিএসও’র ডাকে মেদিনীপুর, বেলদা, সবং, নারায়নগড়, খড়্গপুর সহ সারা
জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং ডিআই দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে সারা শহর পরিক্রমা করে ডিআই দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য যাওয়া হয়। মেদিনীপুরে মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক ব্রতীন দাস এবং বেলদাতে মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি বিশ্বরঞ্জন গিরি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ শংকর ঘাঁটা, সুরজিৎ সামন্ত।
ব্রতীন দাস বলেন, জনজীবন যেখানে স্বাভাবিক সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় সত্যিই কি সরকার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলছে, নাকি ছাত্র স্বার্থবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ -র অনলাইন শিক্ষাকে পাকাপোক্ত করবার সুগভীর কৌশল গ্রহণ করতে চাইছে। যা আসলে ব্যাবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষাকারী দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্ফুট করে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।