রোদ গরমের তীব্রতায় পুরুলিয়ায় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পথ অবরোধ ক্ষণস্থায়ী

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২২ মে: আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধের তেমন প্রভাব পড়ল না পুরুলিয়ায়। তাপ প্রবাহের প্রভাব পড়ে তাঁদের ওই কর্মসূচিতে। সকাল থেকে পথ অবরোধ করলেও রোদ গরমের কারণে দুই ঘণ্টার মধ্যেই তা নিজেরাই তুলে নেয় ওই সংগঠনটি।

কুড়মিদের এসটি করার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের বিরুদ্ধে সোমবার বনধ ডাকে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামে ওই সংগঠন। তাদের পক্ষ থেকে ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের আংশিক প্রভাব পড়ে পুরুলিয়ায়। সকালের দিকে পুরুলিয়া শহরে আংশিক দোকানপাট খোলা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সমস্ত দোকানপাট খুলে যায়। সরকারি বাস কয়েকটি রুটে চলাচল করলেও, বেসরকারী বাস হাতে গোনা কয়েকটি রাস্তায় নামে।

বনধকে সফল করতে রাস্তা আবরোধে সামিল হন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামে আদিবাসী সংগঠনের সদস্য সদস্যারা। একইসঙ্গে হুড়া থানার মোরজঙ্গলপুর গ্রামের প্রায় ১০০টি আদিবাসী পরিবারকে অন্য একটি আদিবাসী সংগঠনের দ্বারা সামাজিক বয়কট করে রাখার অভিযোগ তুলে পুরুলিয়ার লালপুর মোড়ে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০এ জাতীয় সড়ক এবং লালপুর-পুঞ্চা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন সংগঠিত আদিবাসীরা। এর জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ। একই সঙ্গে বলরামপুরে জামশেদপুরগামী ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক, আড়ষার আহাড়রা মোড়, কাশীপুরে রাস্তা অবরোধ হয় এবং দু’ আড়াই ঘন্টার মধ্যে তা উঠেও যায়।

অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সবে মিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিনই আদিবাসী সংগঠনের বনধ এবং রাস্তা অবরোধের জেরে খানিকটা সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা ও সড়ক পথে যাতায়াতকারীরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সনৎ কুমার বেসরা বলেন, “রোদ গরমের কারণে রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও ১২ ঘন্টার বনধ পালন করি আমরা। দাবি এবং অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকার না ভাবলে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে আগামী দিনে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *