রাহু তৃণমূলের কারণে পশ্চিমবঙ্গে গ্রহণ চলছে বলে অন্ধকার, বাজেটকে মমতার অমবস্যা মন্তব্যের পাল্টা দিলেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১ ফেব্রুয়ারি: নির্মলা সীতারামনের বাজেটে ভবিষ্যতের জন্য কোনো আশার আলো নেই বলে মনে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে দিশাহীন বাজেটে যা আছে তা শুধুই অন্ধকার। শুধুই অমাবস্যা। এর পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসকেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য রাহু বলে উল্লেখ করে বলেন, এখানে তো গ্রহণ চলছে তাই এখানে তো অন্ধকার থাকবেই।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেননি এই বাজেট কার জন্য ভালো বা কার জন্য খারাপ? তাহলে মানুষ বুঝতে পারতেন। এরপরই তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “তবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য অন্ধকার অমাবস্যাই আছে, কারণ তৃণমূল কংগ্রেস নামক শাসক দল এখানে রাজত্ব করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তৃণমূল নামক রাহু পশ্চিমবঙ্গে থাকবে, ততদিন এখানে পূর্ণিমা আসার কোনো চান্স নেই। অমবস্যাই থাকবে। গ্রহণ হলে অন্ধকারই থাকে।”

প্রসঙ্গত এই বাজেট গরিব এবং বেকার বিরোধী বলেই মনে করেছেন মমতা। স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি নিয়ে ও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি। বীরভূমে একটি সভাতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, তিনি যদি হতেন গরিব সাধারণ মানুষের জন্য বাজেট আধ ঘন্টায় করে দিতেন। তার কথায় এই বাজেট ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নয়, এটা সুবিধাবাদী বাজেট। এই বাজেটে আশার আলো নেই। অন্ধকার অমাবস্যা আছে, এটা গরিব বিরোধী বাজেট।

অন্যদিকে এই বাজেটের সমালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, এটি ছদ্মবেশী রাবনের বাজেট। আপাত ভাবে যেখানে যেখানে মনে হয়েছে, একটু ছাড় কিংবা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি টাকা ঘুর পথে মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, জীবন দায়ী ওষুধে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হয়নি। সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া। এই মুদ্রাস্ফীতির ফলে সেই ব্যক্তি বা সেই পরিবারকে ছাড় বলে যেটাকে দেওয়া হচ্ছে তার কোনো সুবিধা তারা পাবেন না। তার কারণ হচ্ছে, এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে তার কাছ থেকে ঘুর পথে কেন্দ্র সরকার চারগুন টাকা আবার ফিরিয়ে নিচ্ছে। ছদ্মবেশী রাবণের রূপে সহানুভূতি টানার চেষ্টা এটা।

কুনালের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাবণ গেরুয়া বসনে এসেছিল। কিন্তু সে ধর্মের কাজ না করে অধর্মের কাজ করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কে অধর্মের কাজ করে তা পশ্চিমবঙ্গের জনগণ জানে। আমরা সীতা হরণ করতে চাই না আমরা আমাদের পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করেই ভোটে লড়তে চাই। ওনাদের শূর্পনখা হওয়ার ইচ্ছা থাকলে হতে পারেন, আমরা নাক কেটে যাত্রা করব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *